
স্পোর্টস ডেস্ক : খেলার সাংবাদিক। তাই খেলার মাঠে মোস্তাক আহমেদ খানের ছিল নিত্য পদচারণা। ম্যাচ কাভার করতেন। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) অবশ্য খেলার মাঠে এসেছিলেন খেলা কাভার করতে নয়, নিজে খেলতে। আর সেখানেই খেলার মাঝেই বুক চেপে মাটিতে পড়ে গেলেন। আর উঠতে পারলেন না। চলে গেলেন অসীমের পানে। সতীর্থরা তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক জানালেন, শরীরে সাড়া নেই। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি (ইন্না নিল্লালে .. রাজিউন)।
মোস্তাক আহমেদ বিডি স্পোর্টস ডট কমে কাজ করতেন। ৫৫ বছর বয়সী সদালাপী এই ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এর সদস্য। ক্রীড়া সাংবাদিকদের এই সংগঠনের বার্ষিক ক্রীড়া আসর স্পোর্টস কার্নিভালে অংশ নিতে আসেন মোস্তাক। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ব্যাডমিন্টনের উডেন ফ্লোরে খেলায় নামেন তিনি।
সেই খেলার মাঝেই হঠাৎ করে মাটিতে পড়ে যান। সতীর্থরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্টেডিয়ামের প্রিয়মুখ মোস্তাক আহমেদের আকস্মিক মৃত্যুতে সতীর্থ সাংবাদিকরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। উৎসবের মেজাজ নিয়ে শুরু হওয়া স্পোর্টস কার্নিভালে মুহূর্তেই শোকের মাতম। সঙ্গে সঙ্গে পুরো স্পোর্টস কার্নিভাল স্থগিত করা হয়।
ছিপছিপে গড়নের মোস্তাক আহমেদ খান ডায়াবেটিস এবং লো প্রেসারে ভুগছিলেন। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন মোস্তাক আহমেদ।
বিএসপি-এর স্থায়ী সদস্য ছিলেন মোস্তাক আহমেদ খান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্রীড়া সাংবাদিকদের এই সংগঠনটি। এ ছাড়া শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), হ্যান্ডবল ফেডারেশন ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের আরেকটি সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ)। ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ মোস্তাক এভাবে চলে যাওয়ায় বিএসপিএ শোকাহত। এ কারণেই মার্সেল বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল স্থগিত করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ক্রীড়া সাংবাদিকতা করেছেন মোস্তাক আহমেদ। দৈনিক বাংলা দিয়ে সংবাদপত্রে পথচলা শুরু তার। এরপর নয়া দিগন্ত ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা রিপোর্টে কাজ করেন তিনি। সর্বশেষ বিডিস্পোর্টসটুয়েন্টিফোরডটকমে কর্মরত ছিলেন মোস্তাক আহমেদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



