জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে ঋণ খেলাপির পরিমাণ মোট ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে গত ছয় মাসেই ৬৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে। যা মোট বিতরণ করা ঋণের সাড়ে ১২ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে, মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকই রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর। যার পরিমাণ ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। অপরদিকে, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) খেলাপি ঋণের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ব্যাংকিং খাতে লুট হয়েছে। প্রভাবশালীরা ঋণের নামে হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন। ফলে বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এর থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, সরকারিভাবে যে পরিমাণ খেলাপি ঋণের কথা বলা হয়, বাস্তবে তার পরিমাণ দ্বিগুণ। ব্যাংকিং খাতকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে দেখা গেছে। আবার তারাই ব্যাংকিং খাতকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত ১৫ বছরে ক্রমান্বয়ে ব্যাংকিং খাতে দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সুশাসনের অভাবের কারণে এই খাতে শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়াই এর বড় প্রমাণ। ব্যাংকগুলো রাজনৈতিক প্রভাব ও জবাদিহিতা না থাকার সংস্কৃতির শিকার হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নীচে এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খেলাপি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।