নিজস্ব প্রতিবেদক : গত জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আ হ ম মুস্তফা কামাল খেলাপি ঋণ কমানোর ঘোষণা দেন। এর পরই ঋণ অবলোপন নীতিমালায় শিথিলতা আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পাশাপাশি বিশেষ সুবিধার আওতায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সুবিধা দিয়ে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কিন্তু কোনোভাবেই খেলাপী ঋণ কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর শেষে অবলোপন করা খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। আর সে হিসেব অনুযায়ী খেলাপি ঋণের স্থিতির সঙ্গে অবলোপন করা ঋণ যোগ করা হলে দেশের ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, যা ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ওই সময় দেশের বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ছিল ৯ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে অবলোপন করা খেলাপি ঋণসহ মোট খেলাপি ঋণ বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবলোপন করা ঋণের টাকা আদায় করতে পারছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।