ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ নবায়নের ব্যাপারে নতুন তথ্য রয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নবায়ন করা হয়েছে। গত মাসের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব করা হয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে এটি নয় মাসের ঋণ নবায়ন ছিল। ২০০৩ সালে দিকে এটি ছিল ১৮ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে সব ধরনের রেকর্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে এটি ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাছাড়া খুব শীঘ্রই খেলাপি ঋণের আনুষ্ঠানিক তথ্য পাবলিশ করা হবে। এটি হবে ডিসেম্বর ভিত্তিক খেলাপি ঋণের তথ্য।
তবে অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খেলাপি কম দেখাতে নানারকম ছাড় দেয়া হয়। ঋণ পুনঃতফশিলের নীতিমালা সহজ করে ২০২২ সালে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এরপর থেকে পুনঃতফশিলের জন্য আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতে হচ্ছে না।
গত বছরের প্রথম ৯ মাসে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ নবায়ন বা পুনঃতফশিল করেছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো। যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো করেছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর পুনঃতফশিল ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। তবে বিদেশি ব্যাংকগুলো এ সময় কোনো খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিল করেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।