মো. তোহিদুল ইসলাম : স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসকে তুলে ধরার এইতো সময়। একটা প্রজন্ম বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে জানার সুযোগ পায়নি বলে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে ছোট করার প্রয়াস পায়। এদেশের বীর সন্তানদের অপমান করে, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলে। অথচ বাংলাদেশের অভ্যুদয় একদিনে হয়নি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পিছনে হাজারো বীরত্বগাঁথা, সংগ্রাম আর ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছরের শোষণ আর শাসনের বিপক্ষে সংগ্রাম করেই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।
৫২, ৫৪, ৫৬, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭১, ১০, ২১, ০৭, ১৭, ২৬, ১৬
আপনার কাছে এইগুলা শুধু নাম্বার মনে হতে পারে কিন্তু এই প্রতিটা নম্বর আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম আর সাহসের দিন কিংবা বছর। খেলোয়াড়রা দলের পাশাপাশি জার্সিতে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এই সময়গুলাকে, সংগ্রামের ইতিহাসকে বহনকরলে দেশপ্রেম বাড়বে। যারা নিজের গায়ের পিছনে দেশের ইতিহাসকে ধারণ করবে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। একই সাথে একটা প্রজন্ম জানবে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তথা বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে।
আইসিসি কিংবা ফিফা কোথাও জার্সি নম্বর নিয়ে বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। শুধু অনুমতি বা বরাদ্দের আবেদন করলেই হবে। ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ যেসব আন্তর্জাতিক খেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে সেসব খেলায় খেলোয়াড়গণ যদি জার্সির পিছনে এই নাম্বারগুলো বহন করতো তবে নতুন প্রজন্ম দেশকে জানতে পারতো।
আমাদের গর্বের সময় কিংবা সংখ্যাগুলো হলো-
৫২- ভাষা আন্দোলন।
৫৪- যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের বছর
৫৬-বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির বছর
৬২- শিক্ষা আন্দোলন
৬৬-ছয় দফা আন্দোলন
৬৯- ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
৭১- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীন দেশ প্রাপ্তি।
১০ জানুয়ারি-বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
২১ ফেব্রুয়ারি-আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস।
০৭ মার্চ-ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
১৭ মার্চ-শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
২৬ শে মার্চ-স্বাধীনতা দিবস
১৬ ডিসেম্বর-বিজয় দিবস।
স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে যে অর্জন তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সঠিক সময় এখনই। প্রত্যাশা করবো ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ সব আন্তর্জাতিক খেলায় খেলোয়াড়দের জার্সি নম্বর হবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামের প্ল্যাকার্ড। এদেশের ক্রিকেট বোর্ড, ফুটবল ফেডারেশনসহ অন্যান্য সংস্থা বিষয়টি বাস্তবায়ন করবেন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি, ডিএমপি)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।