জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বিতর্কিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, এটি সমপদে নিয়মিত বদলি। পদোন্নতি বদলি নয়, উনি নিয়মিত পদায়নে সমপদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বদলি হয়েছেন।
জানা যায়, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে পেটানোই শুধু নয়, দিরাই’র ইউএনও উপজেলায় যোগ দিয়েই একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছিলেন। প্রকাশ্য সমাবেশে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বিতর্কসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখিত ব্যাখা চেয়ে চিঠি লিখেন। এতে বেকায়দায় পড়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
সর্বশেষ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় দিরাইয়ে রাফসান একাডেমি ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচ চলাকালীন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বেধড়ক পেটান ইউএনও শফি উল্লাহ।
এসময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে এক দর্শককেও পেটান তিনি। পরে রাত ১০ টায় দিরাই থানায় বসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামের মধ্যস্থতায় নিষ্পত্তি হয়।
খেলোয়াড়দের পেটানার সংবাদটির সূত্রে পরদিন সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে তদন্তে আসেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। তদন্তে মারামারির সত্যতা পাওয়ার প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
এর আগে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের নাম নিজের ছেলে ‘রাফসান’র নাম অনুসারে নামকরণ করেন। শুধু তাই নয়, এলাকার নবীন-প্রবীণ খোলোয়াড়কে পাশ কাটিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনও করান নিজের ছেলেকে দিয়ে। তখন বিষয়টির বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
গত ৭ অক্টোবর একটি সংবাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নেওয়া শেষে কল কেটে দেওয়ার সময় ‘স্যার’ না ডেকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় ক্ষেপেছিলেন তিনি। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
মো. সফি উল্লাহ কিশোরগঞ্জের ভৈরবের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা (ফরেস্ট রেঞ্জার) এএইচএম আসাদ উল্লাহ ও গৃহিনী সেলিনা বেগমের সন্তান। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যোগদান করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।