অতীতে সিনেমা তৈরি করার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মানুষের কাছে ছিল না। প্রাণীদের পর্দায় নিয়ে আসার জন্য সে ধরনের পোশাক পরিধান করতে হতো। তবুও মনস্টারদের জগৎ ফুটিয়ে তোলার অভিনব নেশা ছিল অনেক নির্মাতাদের। তবে ২০০৫ সালে কিংকং সিনেমা পুরো বিশ্বে সমদৃত হয়েছিল।
২০১৪ সালে গডজিলা সিনেমার মধ্য দিয়ে বিশাল আকৃতির প্রাণীদের পর্দায় নিয়ে আসার নতুন যুগের শুরু হয়। ২০১৪ সালে বানানো ঐ সিনেমাটি সফল হওয়ার পর মনস্টারভার্সের পরবর্তী সিনেমা বের করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
মনস্টারভার্সের যেসব সিনেমা আপনার নজর কাড়তে বাধ্য:
- কং: স্কাল আইল্যান্ড (২০১৭)
- গডজিলা (২০১৪)
- গডজিলা: কিং অভ মনস্টারস (২০১৯)
- গডজিলা ভার্সেস কং (২০২১)
তবে ২০১৪ সালে গডজিলা সিনেমায় দেখানো প্রাণীর এত বিশাল আকার ছিল যে এটি অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়। কং: স্কাল আইল্যান্ড সিনেমার বিভিন্ন দানব সদৃশ প্রাণী ও জীব-জন্তুকে ফুটিয়ে তুলতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে ১৯৯৭ সালের জাপানি এপিক হিস্টোরিক্যাল ফ্যান্টাসি অ্যানিমেশন ‘Princess Mononoke‘। তবে এই সিনেমায় আরও একটি মনস্টার দেখানোর কথা ছিল। শিংযুক্ত এই বাঘ মুভির অফিশিয়াল আর্ট বুকে ইকারাস টাইগার নামে পরিচিত ছিল।
শুরুর দিকে ‘কং: স্কাল আইল্যান্ড’ (২০১৭) সিনেমার কাহিনি ১৯১৭ সালের টাইমলাইনে নির্মিত হবার কথা ছিল। কিন্তু এই সিনেমার পরিচালক জর্ডান ভট-রবার্টস এই টাইমলাইনের ওপর লিখা স্ক্রিপ্ট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। এজন্য তিনি প্রোডাকশন হাউজকে আমেরিকা-ভিয়েতনাম যুদ্ধের পরবর্তী সময়কে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। স্কাল আইল্যান্ড সিনেমাটি ছিল ‘Apocalypse Now’ (1979) মুভি থেকে অনুপ্রাণিত।
৯৬২ সালে আসে গডজিলা আর কিং কংয়ের প্রথম ক্রসওভার। ওদিকে কিং কংয়ের কমিক পাবলিশাররাও এর রাইট ক্লেইম করতে থাকে। এই অবস্থা দেখে, ১৯৭৫ সালে ইউনিভার্সাল পিকচার্স আর ডিনো ডে লরেন্টিস পিকচার্স স্টুডিয়ো মেরিয়ান কুপারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। ফলে আদালতের রায়ে কিং কংকে পাবলিক ডোমেইন ক্যারেক্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০১৪ সালের গডজিলার অবয়ব নির্মাণে জাপানিজ ট্র্যাডিশনাল গডজিলাকে অনুসরণ করা হয়েছিল। গডজিলার চেহারা সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিচালক কুকুর, ভালুক, আর ঈগলের মুখমণ্ডল নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তিনি এই কথা মাথায় রেখেছিলেন যে, গডজিলার চেহারা অতিমাত্রায় ভয়ংকর বা খুব বেশি আকর্ষণীয়, কোনোটাই হওয়া যাবে না।
এই মুভিতেই প্রথম গডজিলার ভেতর ফুলকা যুক্ত করে দেন পরিচালক, যাতে সে পানিতে থাকা দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে সমুদ্রের নিচে দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারে। ৩৫৫ ফুট উচ্চতা এবং ৫৫০ ফুট লম্বা লেজ নিয়ে ২০১৪ সালের গডজিলা ছিল ঐসময় পর্যন্ত গডজিলার সবচেয়ে বৃহৎ সংস্করণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।