জুমবাংলা ডেস্ক : গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেয়ার কারণ জানিয়ে দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে সোমবার চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি’র উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি কর্তৃক প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শর্ত প্রতিপালিত হয়েছে।
তবে, দলটির সরবরাহকৃত ১৪১টি উপজেলা/থানা পর্যায়ের তথ্য যাচাই করে মাত্র ৬৩টি জায়গায় দলটির নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়। অবশিষ্ট ৭৮টি উপজেলা/থানা অফিস এবং নির্ধারিত সংখ্যক ভোটার সদস্য থাকার তথ্য অর্থাৎ নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। দলটি কর্তৃক নিবন্ধনের শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নিকট দলটি নিবন্ধনযোগ্য বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৭ এর উপ-বিধি (৬) অনুযায়ী মাননীয় নির্বাচন কমিশন গণঅধিকার পরিষদ নামীয় দলের আবেদন না-মঞ্জুরপূর্বক নিষ্পত্তি করেছেন।’
এদিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটি বলছে, নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। যার কারণে যোগ্য দলকে বাদ দিয়ে দুটি ভুঁইফোড় দলকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওদিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের নিবন্ধন চেয়ে গত মঙ্গলবার ইসিকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না দিলে আবারো ইসি ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
এর আগে গত ২৫শে জুলাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে দলটি। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাত্রা করে।
তবে বাংলামোটরে মিছিলটি আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।