জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অটোরিকশায় তুলে নিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৩ জন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো: মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে তরুণীকে চন্ডিপুল পৌছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে ৪ যুবক। এরপর তার চন্ডিপুলে গাড়ী না নামিয়ে তরুণীকে জোরপূর্বক অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখাতে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গণধর্ষণের পর ওই তরুণীর হাতে গাড়ি ভাড়ার জন্য ৬০ টাকা তুলে দিয়ে পালিয়ে যায় অটোরিকশাচালকসহ অন্য তিন ধর্ষক। এ ঘটনায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন। এরপর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ওসমানীনগরের চন্ডীত্তীয়র গ্রামের কালা চাঁদের তলার দক্ষিণ পাশে রুনি হাওড় নামক স্থানে খালিজমিনে নিয়ে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
ওসি মনির জানান, গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত সুরমান খান (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে সোহেল মিয়া (২৮) জামাল খাঁন (৩৫) ও সাইফুর রহমান বাবুল (২৩) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সকলেই সিলেটের ওসমানী নগরের বাসিন্দা।
এরপর শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া, জামাল খাঁন (৩৫) ও সাইফুর রহমান বাবুল (২৩) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।