জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র জিহাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ধলা মিয়া ওরফে দানু মিয়া (৩৫) চকরিয়ার লাল ব্রিজ এলাকায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের লাল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ধলা মিয়া মহেশখালী থানার মাহারা পাড়া এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের কলমদরের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, পেকুয়ার চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র জিহাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ধলা মিয়া ও একই মামলার ২নং আসামি মোবারক আলী সকালে চকরিয়া লাল ব্রিজ এলাকায় আসলে স্থানীয়রা তাদের দেখতে পেয়ে ঘেরাও করেন। এসময় লোকজন জড়ো হয়ে তাদের গণধোলাই দেয়।ৎ
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে ফোন করে জানালে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গণধোলাইয়ে আহত আসামি দানু মিয়া ও মোবারককে উদ্ধার করে। এসময় অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয়রা ধলামিয়া ওরফে দানুকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং অপর আসামি মোবরককে থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্র মতে, আহত ধলা মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের স্বজনরা।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তাফা সাংবাদিকদের জানান, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে পেকুয়া থানার ডিউটি অফিসার আহত অবস্থায় হরিণাফাঁড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ধলা মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, অপহরণ সংক্রান্ত একটি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং সেখানে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশও আহত হয়।
পরে পুলিশ মোবারকসহ দুজনকে উদ্ধার করে একজনকে থানায় নিয়ে আসে এবং অপরজনকে পেকুয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চাঞ্চল্যকর জিহাদ হত্যা মামলায় ওই আসামি জামিনে থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র আসহাবুল করিম জিহাদকে তার পেকুয়াস্থ বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী এলাকায় নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় তার বাবা মকছুদুল করিম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।