জুমবাংলা ডেস্ক : গণপরিবহনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না। দূর থেকে দেখা যায়, পরিবহনে যাত্রীদের জীবাণুনাশক দিয়ে উঠার হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে দেখা যায় পানি দিয়ে এমন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না চট্টগ্রামের অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিকরা। এমনকি গণপরিবহনের অধিকাংশ চালক-হেলপার মাস্কও ব্যবহার করছেন না। হ্যান্ড স্যানিটাইজ করার নামে দেয়া হচ্ছে শুধু পানি। শুক্রবার (৩ জুলাই) নগরের জিইসি ও ওয়াসা মোড় এলাকায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমনই অনিয়ম চোখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক।
এ সময় গণপরিবহনে স্যানিটাইজার না থাকা, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, পানি দিয়ে স্যানিটাইজ করা ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে পরিবহন শ্রমিক এবং যাত্রীসহ ২০ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, অভিযানকালে নগরের জিইসি ও ওয়াসা মোড়ে দেখা যায়, অনেক বাস, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ি স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করছে। কয়েকটি বাসে দেখা যায়, সুরক্ষা সামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই, ড্রাইভার হেলপারসহ যাত্রীদেরকেও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়নি। বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেগুলো আছে তা জীবাণুনাশক না। আবার কয়েকটি বাসে শুধু পানি দিয়ে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। যা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ২ সিটের জায়গার একজন থাকার কথা থাকলেও ২ থেকে ৩ জনও বসা অবস্থায় দেখা যায়। অভিযানের সময় যাত্রীরা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যবিধি পালনের কথা বললে অনেক ক্ষেত্রে ড্রাইভার ও হেলপার মিলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট দেখলে তারা ভালো সাজেন। স্যানিটাইজার না থাকা, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, পানি দিয়ে স্যানিটাইজ করা ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে ১০ জন ড্রাইভারকে ৩০০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত নোহা গাড়ি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় অধিক যাত্রী থাকায় চালক ও যাত্রীসহ ১০ জনকে ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।