জুমবাংলা ডেস্ক: গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রকৌশলী আবদুল হাই-এর সব ব্যাংক হিসাব ও লেনদেনের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার বিএফআইইউর নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেনের তথ্য তলব করা হয়েছে।
অনৈতিকভাবে কাজ পাইয়ে দিতে প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ১১০০ কোটি ও আব্দুল হাই ৪০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে জানান স¤প্রতি গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এরপরই তাদের লেনদেন অনুসন্ধান করতে ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম আরও জানান, প্রতি টেন্ডারে ৮-১০ শতাংশ কমিশন দেয়া লাগত তার। অনেক সময় নির্দিষ্ট কমিশনের পরও ঘুষ দিতে হতো। পূর্ববর্তী ও ভবিষ্যতের কাজ পেতে এখন পর্যন্ত গণপূর্ত অধিদফতরের সদ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে তিনি ঘুষ হিসেবে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা দেন। গণপূর্তের ঢাকা জোনের আরেক সদ্য সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাইকেও ঘুষ দিয়েছেন ৪০০ কোটি টাকা- এমন দাবি করেন তিনি।
সূত্র জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম অবসরে যান। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সেখানে একচ্ছত্রভাবে ঠিকাদারি কাজ পান শামীম। তবে রফিকুল অবসরে যাওয়ার পরও গণপূর্তে শামীমের প্রভাব কমেনি। কমিশন দিয়ে নিজের প্রভাববলয় বজায় রাখেন তিনি। গণপূর্তে এমন কথা প্রচলিত আছে, ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতে নানা দফতরে ‘তদবির’ করে রফিকুলকে প্রধান প্রকৌশলী বানিয়েছিলেন শামীম।
এর আগে ক্যাসিনো জুয়ার বোর্ড পরিচালনা, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিংয়ের সন্দেহে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন নবী চৌধুরী শাওন ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। এ ছাড়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার নিজস্ব ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।
ঘটনাপ্রবাহ : ক্যাসিনোয় অভিযান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।