জুমবাংলা ডেস্ক : সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধের পক্ষে নয়, এমনটাই জানালেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সোমবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে তথ্য ভবনে আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নামে ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছে তা, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজের প্রতিফলন। এ সময় তিনি অতীতে রাজনৈতিক হয়রানির ইচ্ছায় দায়ের করা মামলা পুনর্বিবেচনার আশ্বাসও দেন।
মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সরকারের প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহযোগিতায় আয়োজিত এই আলোচনায় নানান ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যারা রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের বক্তব্য শোনা হয়। আলোচনায় জানা যায়, গত ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ৮ জন নিহত হন ২০২৪ সালে। তবে, এ বছর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগিয়েছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও চ্যালেঞ্জ
দুর্দশার জন্য সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারকেই দায়ী মনে করছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা। দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান বলেন, “রাজনৈতিক মামলাগুলো এক কলমের খোঁচায় প্রত্যাহার করা হোক। আমি নিজেও এখনও আসামি।” অন্যদিকে, দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “ফ্যাসিবাদ এবং স্বাধীন গণমাধ্যম একসাথে চলতে পারে না। একই ব্যক্তি বা দল যেন বছরের পর বছর ক্ষমতায় না থাকে।”
গণমাধ্যমের আর্থিক স্বাধীনতা প্রয়োজন
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানান, আর্থিকভাবে স্বনির্ভর না হলে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও বিপন্ন হবে। তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা যদি অন্যের করুণার ওপর নির্ভরশীল থাকেন, তবে স্বাধীনতা ছাড়তে হবে।”
তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ২৬৬ মামলা হয়েছে যার মধ্যে ৭৪টি হয়রানির ও ২৯টি ব্যক্তিগত কারণে করা হয়েছে।
প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, হয়রানিমূলক মামলা পর্যালোচনা হবে। তিনি বললেন, “পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে প্রশ্ন করা এক জিনিস আর সাংবাদিকতাটাকে প্রপাগান্ডা হিসেবে ব্যবহার করা আলাদা জিনিস।” সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির ঘটনারও নিন্দা জানানো হয়।
এদিকে, কিছু সংবাদমাধ্যমের অভ্যুত্থান আন্দোলন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য সতর্ক করে দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনো সংবাদ মাধ্যমকে মব সন্ত্রাসের শিকার হতে দেয়নি।
FAQs
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি। এটি সরকারের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ও সমাজের অবিলম্বিত প্রশ্ন তুলে ধরে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সবশেষ অবস্থা কী?
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন এবং বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন বহু সাংবাদিক।
পেশাদার সাংবাদিকতা কীভাবে উন্নত করা যায়?
সাংবাদিকতাকে নিরপেক্ষভাবে পালন করতে হয়; ঠিক দলীয় প্রপাগান্ডা না হলোই পেশাদারিত্বের পরিচায়ক।
সরকারের সংবাদমাধ্যম নীতির অন্যতম প্রতিশ্রুতি কী?
সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করবে না এবং সাংবাদিকদের হয়রানিমূলক মামলা পুনর্বিচার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।