নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১ হাজার ৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। একই সময়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ৮৬৩ জনে আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮৩ জনে। নতুন মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী।
বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৪১টি ল্যাবে ৭ হাজার ৩৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ এখন করোনা সংক্রমণের দশম সপ্তাহে। ৩৭৯২জন শনাক্ত হয়েছিলেন অষ্টম সপ্তাহে। ৪৯৮০জন শনাক্ত হয়েছিলেন নবম সপ্তাহে। ৩৯ জন মারা গেছেন এই সপ্তাহে। দশম সপ্তাহে দুই দিন বাকি থাকতেই ৫০৯৩ জন শনাক্ত হয়েছে।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। ওইদিন তিনজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় দেশে। একই দিন নতুন করে আরও চারজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে পৌঁছায়। এরপর থেকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের পিকটাইম চলছে। কিন্তু এই সময়ে সবকিছু শিথিল করার চেষ্টা চলছে। একদিকে সরকারি ছুটি চলছে। অন্যদিকে গার্মেন্ট, ফ্যাক্টরি, দোকানপাট- সবকিছু চালু করা হচ্ছে। রাস্তায় যানজটও দেখা যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ পরস্পরের সংস্পর্শে আসছেন। এভাবে ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে পড়বে। আরও মানুষ আক্রান্ত হবে। আরও মৃত্যু দেখতে হবে। এটি জানার পরও কেন এই ঝুঁকি সৃষ্টি করা হচ্ছে? যে জীবিকার কথা বলা হচ্ছে, জীবন না থাকলে জীবিকার সংস্থান করে কী লাভ হবে? এখনও সময় আছে লকডাউন জোরালোভাবে কার্যকর করতে হবে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জসহ যে কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি, তাদের জন্য পৃথক পরিকল্পনা নিতে হবে। কার্যকর লকডাউন দিতে হবে এসব জেলায়। অন্যথায় সামনে আরও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।