জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় ৮ দিন পর মৃত্যুশূন্য দিন কাটলো। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১০ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৩৭৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৭৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১১০ জনের মধ্যে শহরের ৬৫ জন ও দশ উপজেলার ৪৫ জন।
এর মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ১৩, হাটহাজারীতে ১২, ফটিকছড়িতে ১০, সীতাকু-ে ৩, বাঁশখালীতে ২ জন এবং ভুজপুর, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৩ হাজার ৮৬৩ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪২ হাজার ৮৩১ জন ও গ্রামের ১১ হাজার ৩৩ জন।
গতকাল করোনায় কোনো রোগী মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৬২৬ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৪৪৭ ও গ্রামের ১৭৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৩৭৪ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪১ হাজার ৮২৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৮৭৬ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩৫ হাজার ৯৫১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩৫ জন। ছাড়পত্র নেন ৬৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ৮ দিন পর গতকাল করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ২৬ মে মৃত্যুশূন্য দিন ছিল। এছাড়া ২০ মে মাসে আরো একদিন মৃত্যুহীন কেটেছিল। মাসের সর্বোচ্চ ৮ জন মারা যান ৮ মে। পুরো মাসে মোট ১০১ জনের মৃত্যু হয়। এপ্রিলে ১৩৫ জন করোনা রোগি মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় সীতাকু-ের ৩ জনসহ ১৭ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৬ জনসহ ২০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ১৩৮ জনের নমুনায় শহরের ২০ ও গ্রামের ৩২ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২টিসহ ৮টির ফলাফল পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১০৭টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৪টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩ ও গ্রামের ২টিতে এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৮টি নমুনায় শহরের ৪টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় দু’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ল্যাবে করোনার কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, চমেকে ১০ দশমিক ৭৫, চবি’তে ৩৭ দশমিক ৬৮, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ৩ দশমিক ৭৪, মা ও শিশু হাসপাতালে ২১ দশমিক ৭৪, মেডিকেল সেন্টারে ২২ দশমিক ২২ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।