এখন আমাদের নিত্য দিনের অভ্যেস অনেকটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করার। কখনও পোস্ট কখনও রিলস দেখা বা এড়িয়ে যাওয়া। তবে ইন্সটা বা ইউটিউব রিলস দেখে বোর হয়ে যাওয়াটাও নতুন কিছু নয়। একটাই প্রশ্ন গুচ্ছ গুচ্ছ রিলস দেখে আপনি বোর হয়ে যাচ্ছেন কেন? এ নিয়ে স্টাডি করেছে টরন্টো স্কারবোরো ইউনিভার্সিটি।
দিনের মধ্যে অনেকটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি অনেকেরই এখন নিত্য দিনের অভ্যেস। কখনও পোস্ট কখনও রিলস দেখা এবং এড়িয়ে যাওয়াও এখন রোজকার প্রবণতা। একই সঙ্গে ইন্সটা বা ইউটিউব রিলস দেখা এবং সেটা দেখে বোর হয়ে যাওয়াটাও নতুন কিছু নয়। আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছেন, গুচ্ছ গুচ্ছ রিলস দেখে আপনি বোর হয়ে যাচ্ছেন কেন।
এ নিয়ে সম্প্রতি একটি স্টাডি করেছে টরন্টো স্কারবোরো ইউনিভার্সিটি। এই স্টাডির মূল কথা হলো, রিলস বা শর্ট ভিডিও দেখে বোর হয়ে যাওয়ার মূল কারণটা আরও ভালো কিছু খোঁজা। অর্থাৎ যে রিলস বা ভিডিও আপনি দেখছেন, সেটা আপনার পছন্দ হচ্ছে না। আপনি আরও ভালো কিছু খুঁজছেন।
এই অন্তহীন খোঁজ আপনাকে ক্লান্ত করে তুলছে। শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে আপনি রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন। ‘ফাস্ট ফরোয়ার্ড টু বোরডম: হাও সুইচিং বিহেভিয়ার ওন ডিজিটাল মিডিয়া মেকস পিপল মোর বোরড’ নামের এই স্টাডিতে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, ডিজিটাল এই বোরডমের কারণ। স্টাডির মূল অথর কাটি ট্যাম এ প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, মনোসংযোগের সঙ্গে বোরডমের খুব ভালো যোগাযোগ আছে।
আপনি যা চাইছেন, সেটা পাচ্ছেন না বলেই যত সমস্যা। সে জন্যই আপনি কোনও ভিডিও ফরোয়ার্ড কিংবা ব্যাকওয়ার্ড করছেন। তাতেও আপনার মন ভরছে না। বোরডম আর মিডিয়া কনজাম্পশনের মধ্যেকার সম্পর্ক ঠিক কী, সেটাই খুব ভালো করে তুলে ধরা হয়েছে এই স্টাডিতে। মূল অথর ট্যাম এর কোথায়, ‘কোনও ভিডিও নিরন্তর দেখে চলার অর্থ হলো, সেটি পছন্দ না হওয়া বা আরও ভালো কিছু খোঁজা। এটাই বোরডম আরও বাড়িয়ে দেয়।’
১২০০ জনের উপর করা হয়েছে এই স্টাডি। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বক্তব্য হলো, ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি সুইচ করার অর্থ হলো বুঝতে হবে বোরডম বাড়ছে। কোনও কিছু ভালো লাগছে না। কোনও পজিটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে হাজারো বাধা আসছে। ১৬৬ জন আন্ডার গ্রাজুয়েট পড়ুয়ার থেকে পাওয়া তথ্য দেখা যাচ্ছে, একটা ভিডিও কিছুটা দেখার পরই সেটাকে স্কিপ করা হচ্ছে।
এই কাজ করে অনেক বেশি বোর হচ্ছে ওই পড়ুয়ারা। ১৫৯ জন পড়ুয়া তথ্য দিয়েছে, পাঁচ মিনিটের একগুচ্ছ ভিডিও দেখে তারা বেশি বোর হচ্ছে। বরং ১০ মিনিটের ভিডিও তাঁদের কম বোর করছে। যাঁদের উপর এই স্টাডি করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রথমে বলেছেন, সুইচ করে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা সুখকর হয়।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর উল্টোটাই হচ্ছে। দ্রুত কনটেন্ট বদল হলে, যতই সেই কনটেন্ট ভালো হোক না কেনো, সেটা কোনও রকমের প্রভাব ফেলতে পারছে না। উল্টে বাড়ছে বোরডম। সব মিলিয়ে বার্তাটা পরিষ্কার, কনটেন্ট স্কিপ করার প্রবণতা আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই রয়েছে। স্কিপ করার এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে না এলে, কিছুতেই বোরডম কাটবে না। একই সঙ্গে মিস হবে ভালো কনটেন্টও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।