বিয়ের পরও পরকীয়ায় জড়িয়ে সংসার ভাঙে অনেকের। মানুষের মধ্যে হরহামেশাই এমন ঘটনা দেখা গেলেও, এখন পাখিরাও জড়াচ্ছে পরকীয়ায়। এর জেরে ভেঙেও যাচ্ছে তাদের সংসার। শুনতে অবাক লাগলেও এক গবেষণায়, পাখিদের নিয়ে এমন চমকানো তথ্য সামনে এনেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাখিরাও আজকাল পরকীয়ায় জড়াচ্ছে। সাধারণত, পুরুষ ও স্ত্রী পাখি গাঁটছড়া বাঁধার পরে প্রথম সন্তান আসা অবধি একসঙ্গেই থাকে। এটাই পাখি সমাজের নিয়ম। বিজ্ঞানীদের দাবি, ইদানীং দেখা যাচ্ছে প্রথম ব্রিড হওয়ার আগেই পুরুষ পাখি বা স্ত্রী পাখি অন্য সঙ্গী খুঁজে নিচ্ছে।
অথবা অন্য সঙ্গীর সঙ্গে গোপনে প্রেম করছে। সঙ্গীর একজন পরকীয়ায় জড়ালে, অন্যজন তা কিছুতেই মানতে পারছে না। ফলে ডিভোর্স। আবার এমনও দেখা যাচ্ছে, পাখি দম্পতির একজন অনেক দূরে উড়ে গিয়ে আর ফিরে আসছে না। সেখানেই অন্য সংসার পাতছে। ফলে বিচ্ছেদ হচ্ছে অচিরেই।
পাখিদের ক্ষেত্রে ঠিক এই কারণে ডিভোর্স বেশি হচ্ছে। লং ডিসট্যান্স রিলেনশিপ আজকাল পাখিরাও পছন্দ করছে না। পাখিদের মধ্যে অবসাদের প্রবণতাও দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রে বদল, জলবায়ু বদল, মানুষের তৈরি দূষণে পাখিরা অতিষ্ঠ।
যে কারণে তাদের সংসার পাতার ইচ্ছাও চলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাখিদের ডিভোর্স শুনে ব্যাপারটা হাস্য কৌতুক হিসেবে নিলেও মোটেও তা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। পাখিদের পারস্পরিক কথোপকথন, তাদের বংশবিস্তারের প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে ডিজিটাল সভ্যতার বাড়াবাড়ির কারণেই।
পাখিদের ডিভোর্সের জন্য মানুষের কাণ্ডকারখানাকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। জঙ্গল সাফ হয়ে যাচ্ছে, গাছ কেটে কংক্রিটের বাড়ি উঠছে, পাখিরা বাস্তুহারা হচ্ছে। মোবাইলের মাইক্রোওয়েভ রশ্মি, টাওয়ার থেকে ভেসে আসা তরঙ্গ, গাড়ির আওয়াজে দিশাহারা হচ্ছে পাখিরা। ভাব বিনিময়ের পদ্ধতিই ভুলে যাচ্ছে তারা। এই গবেষণা আগামী পৃথিবীর কাছে এক অশনি সঙ্কেতই বটে। গবেষকরা বলছেন, একটা সময় আসবে যখন পৃথিবী থেকে মুছে যাবে পাখির গান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।