পারদ বা মারকারি খুবই বিষাক্ত একটি পদার্থ। শক্তিশালী এই নিউরোটক্সিন মানুষ ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনা, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শুরু করে সোনার খনি খননের সময় সাধারণত প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে পারদ। আর তাই পরদ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই বিজ্ঞানীদের।
তবে সম্প্রতি এক গবেষণা চালিয়ে এ বিষয়ে সুসংবাদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানী। মানুষের কারণে প্রকৃতিতে পারদ নির্গমনের হার আগের চেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বায়ুমণ্ডলের পারদ পরিমাপের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বায়ুমণ্ডলে পারদের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞানী আরি ফেইনবার্গ বলেন, ‘আমরা দেখছি, বায়ুমণ্ডলে পারদের মাত্রায় ঊর্ধ্বগতি নেই এখন। বিশ্বব্যাপী পারদ নির্গমনের মাত্রা গত শতাব্দীতে মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সাম্প্রতিক অনুসন্ধান বলছে, এই মাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন আসছে।’
বিজ্ঞানীরা উত্তর গোলার্ধের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ স্টেশন থেকে সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলে পারদের ঘনত্ব ২০০৫ সালের চেয়ে ২০২০ সালে প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। তাঁদের গবেষণা প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে পারদ নির্গমন কমাতে ২০১৩ সালে মিনামাটা কনভেনশন নামের একটি চুক্তি হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন দেশে পারদ নির্গমনের হার বাড়ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে প্রায় চার হাজার মেট্রিক টনের মতো পারদের উপস্থিতি আছে। ৫০০ বছর আগে এই মাত্রা ছিল ৫৮০ মেট্রিক টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।