একটি নতুন বৈশ্বিক সমীক্ষা বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের নানা দেশে খরা বাড়ছে। ছোট ছোট খরার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে বড় আকারের খরা বাড়ছে। ১৯৮০ সাল থেকে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা তীব্রতর হচ্ছে। অস্ট্রিয়ার ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা গত ৪০ বছরের বিভিন্ন খরার মাত্রা বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। এসব খরার পেছনে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চোখে পড়ছে।
সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৯৮০ সাল থেকে বিভিন্ন খরাপীড়িত অঞ্চলের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বছরের পর বছর এসব এলাকায় নতুন করে অতিরিক্ত ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খরা ছড়িয়ে পড়েছে। খরার এলাকা সম্প্রসারণের কারণ বিভিন্ন এলাকার বাস্তুতন্ত্র, কৃষি ও শক্তি উৎপাদনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞানী ফ্রান্সেসকা পেলিসিওটি বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন খরাপীড়িত অঞ্চলের এলাকা বেড়েছে। গড়ে অতিরিক্ত ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার ছড়িয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে খরার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে চিলির কথা বলা যায়। সেখানে পনেরো বছরের বিশাল আকারের খরা চলছে। এই খরা গত এক হাজার বছরের মধ্যে দীর্ঘতম বলা যায়। এতে চিলির পানির রিজার্ভ প্রায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মারাত্মকভাবে কৃষি ও গুরুত্বপূর্ণ খনির কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছে।
বিভিন্ন খরা চিহ্নিত করতে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৮ সালের বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া–সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। বিজ্ঞানী ডার্ক কার্গার বলেন, অনেক দূরবর্তী এলাকায় খরা দেখা যাচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কঙ্গো রেইন ফরেস্টে খরা দেখা যায়। এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র সায়েন্স নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।