Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home গভীর অরণ্যের বুকে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল তারা!
    অন্যরকম খবর

    গভীর অরণ্যের বুকে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল তারা!

    rskaligonjnewsMay 11, 20238 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক: ২ নভেম্বর, ১৯৪৫ সাল। শিকারের উদ্দেশ্যে ৭৫ বছর বয়সি মেরি রিভার্স নামে একজন গাইড চারজন কিশোরীকে নিয়ে পাহাড়ে যান। শিকার শেষে রিভার্স ও তার সহযাত্রীদের ফিরতে একটু দেরিই হয়ে গেছিল সেদিন। সন্ধে হয় হয়। এমনিতেও দিনের আলো নিভতেই ঝুপ করে অন্ধকার নেমে আসে পাহাড়ে। নিঝুম হয়ে আসে পথঘাট। আর দেরি করা ঠিক নয় বুঝে পা চালিয়ে দ্রুত নামতে শুরু করেন তারা। লং ট্রেইল রোড ও ৯ নম্বর রোডের কাছাকাছি আসতেই মনে হল জায়গাটা কেমন অদ্ভুত রকম থমথমে। দুপাশের জঙ্গলে দু-একটা অজানা শব্দ ছাড়া একেবারে শুনশান চারপাশ। ঘন কুয়াশায় বাতাসও যেন আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।

    পর্যটকসামনেই একটা হেয়ারপিন বাঁক। এই জায়গাটায় এসে হঠাৎ পা চালিয়ে সহযাত্রীদের থেকে কিছুটা এগিয়ে যান রিভার্স। তাড়াহুড়ো করে ওইভাবে বাঁক নেওয়ায় সঙ্গের লোকজন ভেবে নিয়েছিল হয়তো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেই ওভাবে দলছুট হয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। অগত্যা পথের বাঁকেই রিভার্সের ফেরার অপেক্ষা করতে থাকেন তারা।

    এইভাবে অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও রিভার্সের দেখা মেলে না। এবার ভয় পেয়ে যান সহযাত্রীরা। শুরু হয় খোঁজ। কিন্তু তন্নতন্ন করে আশেপাশে খুঁজেও রিভার্সের দেখা মেলে না। খবর দেওয়া হয় থানায়। মিসিং ডায়েরি হওয়া মাত্রই রিভার্সের খোঁজে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ আর স্বেচ্ছাসেবকের দল। চিরুনি তল্লাশি চলে পাহাড়ের আশেপাশে। কিন্তু কোথায় রিভার্স? জীবিত, বা মৃত- কোনও অবস্থাতেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

    কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেল একটা জলজ্যান্ত মানুষ? গভীর অরণ্যের বুকে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল না কি! এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি গোয়েন্দা সংস্থার বড় বড় অফিসারেরাও। তবে সেদিনের তদন্তে উঠে এসেছিল কিছু অলৌকিক আশ্চর্য তথ্য!

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রহস্যঘেরা এই জায়গাটায় পা রাখলে প্রথমেই কানে আসে অদ্ভুত কিছু আওয়াজ। আমাদের চেনাজানা শব্দের থেকে ঢের আলাদা সেসব শব্দ! সেসব কি পাহাড়ি জন্তুর ডাক? না, কারও আর্তনাদ? এই জায়গাটা নিয়ে নানা গল্প চালু আছে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন কিছু অশুভ শক্তির প্রভাব রয়েছে এই এলাকায়। বনের মধ্যে পথ হারিয়ে কেউ এই জায়গায় পৌঁছে গেলে সে আর ফিরে আসে না, ভাগ্যক্রমে ফিরে এলেও হয়ে যায় বদ্ধ উন্মাদ। জঙ্গলের মধ্যেকার একটা বিশেষ ত্রিভুজাকৃতি এলাকাকে কেন্দ্র করেই ঘটে গেছে একের পর এক ভূতুড়ে ঘটনা, যার কোনও ব্যাখ্যাই দিতে পারেনি আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞান। হ্যাঁ, আজ কথা বলব, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ভূতুড়ে জঙ্গল বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল সম্বন্ধে।

    হতভাগ্য রিজার্ভের অন্তর্ধানের এক বছর পরেই ঘটে যায় পরের ঘটনাটি। বেনিংটন কলেজের ছাত্রী পলা জেন ওয়াল্ডেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সের উচ্ছল সুন্দরী এক যুবতী, পাহাড়ে জঙ্গলে ভ্রমণের নেশা খুব তার। ১৯৪৬ সালের ১ ডিসেম্বর শীতের সকালে লং ট্রেইলের উদ্দেশে বেরিয়ে কীভাবে যেন ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’-এর মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। তার পরিচিত অনেকেই সেদিন বনের মধ্যে যেতে দেখেছিল তাকে। কিন্তু বেরোতে দেখেনি। সেই রহস্যময় জঙ্গল থেকে কখনো আর ফিরে আসেনি পলা। পাওয়া যায়নি তার মৃতদেহ বা দেহাবশেষও।

    পাগলের মতো অনুসন্ধান চালায় স্থানীয় পুলিশ আর পলার পরিবার। তার সন্ধান দেওয়ার জন্য ৫ হাজার ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এমনকি অনুসন্ধানের কাজে সহযোগিতা নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের। কিন্তু কোনোভাবেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি পলা ওয়াল্ডেনকে। পরে অবশ্য গুজব ছড়ায় যে, ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’-এ নয়, পলা তার প্রেমিককে নিয়ে লুকিয়ে কানাডায় চলে গেছে। অনেকে আবার মনে করেন পলা যেহেতু প্রকৃতিপ্রেমী ছিল, তাই প্রকৃতির সাথে একলা নিরিবিলি জীবন-যাপনের জন্য সে নিজেই বেছে নিয়েছিল নির্জন সেই জঙ্গলকে। কিন্তু এসব দাবির স্বপক্ষে মেলেনি কোনও সুনির্দিষ্ট বাস্তব প্রমাণ। অমিমাংসিত থেকে গেছে পলার অন্তর্ধান রহস্য।

    তৃতীয় ঘটনাটি আরও অদ্ভুত। পলার অন্তর্ধানের প্রায় আরো তিন বছর পরে এই ঘটনাটি ঘটে। তারিখটা ছিল ১৯৪৯ সালের ১ ডিসেম্বর। সেইন্টন এলবান থেকে জেমস ই টেটফোড নামের একজন প্রবীণ সামরিক ব্যক্তি তার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করার জন্য বাসে করে বেনিংটনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তিনি যে বাসে উঠেছিলেন সেই বাসে যাত্রী ছিল মাত্র ১৪ জন। কিন্তু বাস যখন গন্তব্যস্থলে পৌঁছল তখন দেখা গেল, জেমস বাসে নেই!

    কিন্তু বাসযাত্রীদের তথ্যমতে বাসটি মাঝপথে কোথাও থামেনি। কেউ ওঠেনি, কেউ নামেও নি। সেইন্ট এলবান থেকে বাস যখন যাত্রা শুরু করে, তখন বাস ড্রাইভার ও অন্যান্য যাত্রীরা জেমসকে তার নির্ধারিত সিটেই বসে থাকতে দেখেছে। সারা রাস্তা তিনি তার সিট থেকে একবারও ওঠেননি। কয়েকজন যাত্রী জানান শেষ স্টপেজের আগের স্টেশন পর্যন্ত জেমসকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছেন তারা। তাহলে? এক বাস লোকের সামনে দিয়ে একটা লোক স্রেফ ভ্যানিশ হয়ে গেল? এও সম্ভব! আরও অদ্ভুত ব্যাপার, জেমস উধাও হলেও তার যাবতীয় লাগেজ সহ টাকাভর্তি ওয়ালেটটি পড়ে ছিল বাসেই।

    এখানেই শেষ নয়, এর ঠিক পরের বছর, মানে ১৯৫০ সালের ১২ ই অক্টোবর ঘটে আরও একটি অন্তর্ধান। এবারের ভিকটিম জেপসন নামের ৮ বছর বয়সি একটা ছোট্ট ছেলে। জেপসন থাকত তার মায়ের সঙ্গে বেনিংটন ট্রায়াঙ্গলের কাছাকাছি এক গ্রামে। ঘটনার দিন জেপসনের মা গবাদিপশুদের খেতে দিচ্ছিলেন আর ছোট্ট জেপসন ছোটাছুটি করছিল বাড়ির আশেপাশে। ঘণ্টাখানেক পর হাতের কাজ সেরে মা ঘরে এসে দেখেন, জেপসন কোথাও নেই। বাড়ির আশেপাশে খুঁজেও দেখা মেলে না তার।

    জেপসনের গায়ে ছিল একটা লাল রঙের জ্যাকেট, যা অনেক দূর থেকেও চট করে মানুষের চোখে পড়ার কথা। কিন্তু জেপসনের মা কোথাও সেদিন ছেলেকে খুঁজে পাননি। যথারীতি খবর যায় পুলিশে। কিন্তু খানাতল্লাশির সময় পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর গন্ধ শুঁকে শুঁকে কিছুদূর যাওয়ার পর আর এগোতে চায়নি। তাদের ব্যবহার দেখে মনে হয়েছিল কিছুদূর গিয়ে যেন সত্যি সত্যিই বাতাসে মিলিয়ে গেছে জেপসন।

    জেপসনের ঘটনার মাত্র ১৬ দিন পর অর্থাৎ অক্টোবর ২৮ তারিখ ঘটে যায় ৫ নম্বর ঘটনাটি। ক্যাম্পিং-এর উদ্দেশ্যে ৫৩ বছরের ফ্রিডা ল্যাঙ্গার আর তার খুড়তুতো ভাই হারবার্ট অস্থায়ী আস্তানা গড়েছিল এলসনার সমারসেট রিজার্ভেরের কাছে। হঠাৎই একটি ছোট্ট স্রোতের নদী পার হতে গিয়ে জলের মধ্যে পড়ে যান ফ্রিডা। কাপড়চোপড় ভিজে একশা। ভাই হারবার্টকে একটু অপেক্ষা করতে বলে ভেজা কাপড় জামা বদলাতে ক্যাম্পে ফিরে যান ফ্রিডা। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, এদিকে ফ্রিডার দেখা নেই। কিছুটা চিন্তিত হয়েই এবার ক্যাম্পে ফিরে আসেন হারবার্ট। কিন্তু কোথায় ফ্রিডা? তন্নতন্ন খুঁজেও তার দেখা মেলে না।

    ফ্রিডার কাছে এলাকাটি মোটেও অপরিচিত নয়। তার উপর দিনের বেলা। এই দুপুর রোদে একটা মানুষ হঠাৎ হারিয়ে যেতে পারে না কি! ঘটনার অস্বাভাবিকতায় প্রথমটা হতভম্ব হয়ে যায় ভাই হারবার্ট। এবারও পুলিশ আসে। শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি। দুই সপ্তাহ ধরে ৩০০ জন অনুসন্ধানকারীকে নিয়ে গড়া পাঁচটি অনুসন্ধান টিম, এয়ারক্রাফট হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে নানাভাবে তন্নতন্ন করে অনুসন্ধান চালিয়েও হার মানে। খোঁজ মেলে না ফ্রিডার।

    তবে অদ্ভুত ব্যাপার হল, এই ঘটনার এক বছর পর, ১৯৫১ সালের ১২ মে সমারসেট রিজার্ভের কাছাকাছি এক জায়গায় ফ্রিডার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত হলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ফ্রিডাই একমাত্র মহিলা, এক বছর পর হলেও যার মৃতদেহটি শেষমেশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।

    বেনিংটনের ভারমন্টের গ্রিন মাউন্টেনে টানা ৬ বছর (১৯৪৫-১৯৫১) ধরে কমপক্ষে এরকম ১০ জন ব্যক্তি রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছেন। তাদের কোনো চিহ্নই আর পাওয়া যায়নি। যেন বাতাসে মিলিয়ে গেছেন তারা। রহস্যের কিনারা হয়নি বলেই হয়তো মুখে মুখে কাহিনির ডালপালা ছড়িয়েছে বহু দূর। কখনও ভিনগ্রহের প্রাণী, রহস্যময় আলোর ঝলকানি, আবার কখনও ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানাকে এতগুলো মানুষের গায়েব হওয়ার কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়েছে। প্যারানরমাল গল্পলেখক জো সিত্রো প্রথম বই লেখেন এই ঘটনাগুলো নিয়ে। জনপ্রিয় সেই বইয়ের নাম Green Mountain Ghosts, Ghouls, and Unsolved Mysteries। তিনিই পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই জায়গার নাম দেন ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’।

    সিত্রোর লেখা অনুযায়ী ১৮৯৫ সাল থেকেই একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা ঘটে এলাকায়। এই সময়েই জিম ক্রাউলি নামের এক কারখানার শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করে হেনরি ম্যাকডওয়েল নামের এক স্থানীয় মাতাল। বিচারে ম্যাকডওয়েলকে উন্মাদ ঘোষণা করা হয় এবং ওয়াটারবেরি অ্যাসাইলামে পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই সে জেলখানা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর হেনরিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    এর প্রায় ৩০ বছর পর একের পর এক রহস্যময় ঘটনা ঘটতে শুরু করে। উধাও হয়ে যায় একের পর এক মানুষ। না মেলে কোনও ট্রেস, না কোনও ক্লু। এতগুলো অন্তর্ধান, অথচ আজ পর্যন্ত কোনো রহস্যের জটই খোলেনি।

    পরবর্তীকালে প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে কিছু মতবাদ প্রকাশ করেছিলেন। তাদের মতে নেটিভ আমেরিকানরা গ্লসটেনবাড়ি মাউন্টেনের আশেপাশের এলাকাটি অভিশপ্ত বলে মনে করেন। সে এলাকাটিতে বসবাস স্থাপনকারী ইউরোপীয় অধিবাসীদের একাংশের অভিমত, পাহাড়ের পেছনে না কি মাঝেমাঝেই দেখা যেত এক অদ্ভুত আলোর ঝলকানি। হাওয়ায় পাওয়া যেত এক ঝিমঝিমে নেশার গন্ধ, আর মাঝে মাঝে শোনা যেত অদ্ভুত সব আওয়াজ। স্থানীয়দের মতে এ জঙ্গলের ভেতরে বাস করে এক অজানা বিশাল দৈত্যাকার প্রাণী, যার শিকার হয়েছিল ওই তরতাজা দশটা প্রাণ।

    অনেক প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গলটির অবস্থানগত গোলমাল আছে, এখানে ত্রিমাত্রিক জগতের প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে কেউ এ জগতে প্রবেশ করলে সে দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়ে যায়। আবার অনেকের মতে, এই বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল জঙ্গলের কুয়াশার ভিতরে লুকিয়ে আছে ভিন গ্রহের কিছু প্রাণী। একের পর এক অস্বাভাবিক সব ঘটনার মূলে তারাই।

    তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় গা-ঢাকা দেওয়া কোনও গোপন খুনির অস্তিত্বের ধারণাটি। ওই জঙ্গলের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে আছে এক বিকৃতমস্তিষ্ক সিরিয়াল কিলার। একের পর এক নারী পুরুষ শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার পেছনে সেই অজানা খুনিই দায়ী। যদি এ বিষয়টি সত্যি হয় তাহলেও কিন্তু একটি প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়, এতগুলো হত্যাকাণ্ডের পরেও মৃতদেহগুলোর কোনও হদিস কেন পাওয়া গেল না। একটি ছাড়া কেন আর পাওয়া গেল না।

    খেয়াল করলে দেখা যাবে, হত্যাকাণ্ডগুলো সবকটাই ঘটেছে শীতের সময়। ওই বিশেষ সময় ছাড়া বছরের অন্য সময়ে কেন এমন ঘটনা ঘটে না? আরও মজার কথা, ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১- এই ৬ বছরের মধ্যেই এই সবকটি রহস্যজনক ঘটনা ঘটে। তারপর আর এমন ঘটনার কথা জানা যায় না। অবশ্য তারপর ওই এলাকায় লোকের যাতায়াতও উল্লেখযোগ্য রকম কমে গিয়েছিল। তবে ১৯৩৭ সালের আগে এলাকাটি বেশ জনবহুল ছিল। কিন্তু ১৯৩৭ সালের দিকে গ্লসটেনবারি শহরে দেখা দেয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী, যার ফলে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটে। এবং সে সময় থেকেই পরিত্যক্ত হয়ে যায় এই এলাকা।

    ফ্রিডা হারিয়ে যাওয়ার পর অনুসন্ধানকারী দল সারা জঙ্গল তন্নতন্ন করে খুঁজেও হদিশ পাননি তার দেহ, অথচ তার একবছর পরে কী করে একই জায়গায় আবিষ্কার হয় তার কংকালসার মৃতদেহ? তাহলে কি ফ্রিডার মৃত্যু হয়েছে অনেক পরে? তিনি যদি বেঁচেই ছিলেন তাহলে ওই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলেন না কেন?

    ফ্রিডা এবং রিজার্ভ দুজনে ছিলেন বয়স্ক ব্যক্তি এবং এলাকাটি ছিল তাদের নখদর্পণে। যার কারণে পথ হারিয়ে ফেলা তাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। ফ্রিডা তো আবার দিনের আলোতেই হারিয়ে যান। কী করে সম্ভব সেটা? আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানের ফরমুলা আউড়েও উত্তর মেলেনি। ২০১০ সালের একটি আদমশুমারি তথ্য অনুযায়ী, এই এলাকাটিতে বর্তমানে সবমিলিয়ে মাত্র ৮ জন বাসিন্দা বাস করে। সব মিলিয়ে ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’ এমন এক ভূতুড়ে শহর, যেখানে পা রাখলে আর ফিরে আসে না কেউ।

    টাঙ্গাইলে ১০ মাসের বকনা বাছুর দিচ্ছে দুধ!

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অন্যরকম অরণ্যের খবর গভীর গেল তারা বুকে মিলিয়ে হাওয়ায়
    Related Posts
    ছবির-ধাঁধাঁ

    ছবিটি জুম করে বনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নেকড়ে খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন

    July 3, 2025
    অপটিক্যাল ইলিউশন

    ছবিটি জুম করে দেখে বলুন লুকিয়ে কে ঘরের বাহিরে গিয়েছিল

    July 3, 2025
    কুকুর

    জুম করে ছবিতে লুকানো কুকুরটি খুঁজুন, ৯৯% মানুষ ব্যর্থ হন

    July 3, 2025
    সর্বশেষ খবর
    বিদেশি শিক্ষার্থীদের

    বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুখবর দিল যুক্তরাষ্ট্র

    RoRo: Revolutionizing the World of Music with a Fusion of Culture and Rhythm

    RoRo: Revolutionizing the World of Music with a Fusion of Culture and Rhythm

    Monetize a Niche Blog in 2025: Proven Strategies for Passive Income

    Monetize a Niche Blog in 2025: Proven Strategies for Passive Income

    Chen Joong: Martial Arts Mastery Captivating Global Audiences

    Chen Joong: Martial Arts Mastery Captivating Global Audiences

    Hooked Creativity: Pioneering Personalized Shopping Experiences

    Hooked Creativity: Pioneering Personalized Shopping Experiences

    Lisa: The Inspirational Icon Shaping the Future of K-Pop

    Lisa: The Inspirational Icon Shaping the Future of K-Pop

    Erin Lim: The Charismatic Connector of Entertainment Worlds

    Erin Lim: The Charismatic Connector of Entertainment Worlds

    Alix Earle: The Relatable It Girl Revolutionizing Social Media Authenticity

    Alix Earle: The Relatable It Girl Revolutionizing Social Media Authenticity

    Metaverse Connect: Top Virtual Reality App 2025

    Metaverse Connect: Top Virtual Reality App 2025

    HT Media Digital Evolution: Leading the News Industry Revolution

    HT Media Digital Evolution: Leading the News Industry Revolution

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.