জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে বিষপানে স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘঠেছে। স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে গভীর রাতে শোবার ঘরে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেখে ফেলেন স্বামী এনায়েত শেখ। অবশেষে ঘটনার দুই দিন পরে লোকলজ্জার ভয়ে বিষ পান করেন এনায়েত শেখ (২৫) নামের এক যুবক। পরে তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে রেফার্ড করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহটি ফরিদপুর কোতয়ালি থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। শনিবার সকালে নিজ গ্রামে তার দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনার ১০ দিন পরে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের পিতা লুতফর শেখ ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহত যুবক উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচরা গ্রামের লুতফর শেখের ছেলে। তার স্ত্রী বিথি আক্তার (১৯) সে একই উপজেলার নওপাড়া জান্দী গ্রামের হাসমত মাতুব্বরের মেয়ে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে স্বামী-স্ত্রী মিলে শোবার ঘরে যায়। একপর্যায়ে বিথি তার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়ায়। গভীর রাতে হঠাৎ এনায়েতের ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে তার শোবার ঘরে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্ত্রী বিথিকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেখে ফেলেন। সকালে ঘটনাটি উভয় পরিবার ও প্রতিবেশীর মধ্যে জানাজানি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীর পরকিয়ার ঘটনা সইতে না পেরে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের ঘরে এনায়েত বিষ পান করে।
নিহত এনায়েতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে এনায়েতের সাথে বিথি আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে। আমরা জানতাম না বিয়ের আগে থেকেই বিথির সঙ্গে অন্য কোন ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিথির মা ও বড় বোন তাসলিমার সহযোগিতায় বিথি তার গর্ভে থাকা ২ মাসের অন্তঃসত্বা সন্তানকে নষ্ট করে ফেলেছে। বিথির পরকীয়ার জেরে আজ এনায়েতের এমন মৃত্যু হল।
নিহতের (ভগ্নিপতি) আলগীর ৮নং ইউপি সদস্য শওকত মোল্লা জানান, মেয়ের পরিবারের পক্ষ মিমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একটি মিমাংসার কথা হয়ে ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। আজ দুপুরে ভাঙ্গা থানায় এ বিষয় ওসির সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলগী ইউনিয়নের (সাবেক) চেয়ারম্যান ম.ম. সিদ্দিক মিয়া জানান, এ ঘটনায় বিথির পরিবারের সদস্য নুর মোহাম্মদ স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে মিমাংসার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ঘটনার প্রায় ১১ দিন পার হয়ে গেলেও কোন সমাধান হয়নি। বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের নিকট আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। ভাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।