প্রবাস ডেস্ক: ভিয়েতনামে জাতীয় শোক দিবস ২০২১ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাব গম্ভীর পরিবেশে পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ্ সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গনে প্রত্যুষে জাতীয় সঙ্গীত সহকারে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন এবং অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন।
দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং তাঁদের পরিবারবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু স্মরণসভায় ভিয়েতনাম ফাদারল্যান্ড ফ্রন্টের তায় হো ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান ট্রান কুয়ান ডাও, ভিয়েতনাম চেম্বার এন্ড কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রেসিডেন্টেরর উপদেষ্টা মিজ থাও গ্রিফিথ, ভিয়েতনাম বিজনেজ এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান টোং দো এবং ভাইস চেয়ারম্যান লিউ হিউ থান উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণসভার প্রারম্ভে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণসহ অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
প্রার্থনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় । এর পর মান্যবর রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত শোক সভায় শ্রদ্ধাচিত্তে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আলোচনায় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টে শাহাদাৎ বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির জনকের জীবনাদর্শ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সহ সকল সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতীয় শোক দিবসে তিনি শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংল’ গড়তে এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির অসামান্য অবদান ও বাংলাদেশ-কে স্বল্পোনত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ-এ উন্নীত হওয়ার অর্জনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
স্মরণ সভার শেষ পর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ও ভ্রাতৃপ্রতীম ভিয়েতনামি জনগনের প্রতি সৌহার্দ্য প্রদর্শন স্বরুপ রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ ভিয়েতনামে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অসহায় ও দু¯’ পরিবার এবং কোভিড-১৯ সন্মুখ-যোদ্ধাদের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার জন্য ভিয়েতনাম ফাদারল্যান্ড ফ্রন্টের তায় হো ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান জনাব ট্রান কুয়ান ডাও এর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভিয়েতনামে কোভিড মহামারীর কারণে ভিয়েতনাম সরকার কর্তৃক কোভিড মহামারীর সতর্কতার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, চলমান লকডাউন এবং ও জনসমাগম-এর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার জন্য দিবসটি স্বল্প সংখ্যক অতিথি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী-এর মাধ্যমে ‘ইন-হাউজ’ স্মরণ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।