রোদ থেকে ঘরে ফিরেই আমপোড়া শরবত। দুপুরে ভাতের সঙ্গে রয়েছে আম দিয়ে টক ডাল। আর শেষ পাতে আমের চাটনি। গরমকালে কাঁচা আমের কদর বেশি। অবশ্য স্বাদের জন্য নয়। গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে কাঁচা আমের জুড়ি মেলা ভার। রসনা মেটানোর পাশাপাশি তাপপ্রবাহের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে কাঁচা আম। কাঁচা আমের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে, যা গরমে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরকে ঠান্ডা রাখে এই ফল। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।
এছাড়া, কাঁচা আমের মধ্যে ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা একাধিক উপকারিতা প্রদান করে। গরমে কাঁচা আম খেলে কী-কী উপকার মেলে, জেনে নিন।
ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায় : কাঁচা আমের মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাশিয়ামের মতো একাধিক পুষ্টি রয়েছে। এগুলো দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁচা আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই। এমনকি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম। গরমে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।
ওজন কমায় : দেহের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঁচা আম। মিষ্টি আমের তুলনায় কাঁচা আমে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে ৪৪ ক্যালোরি থাকে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। পাশাপাশি কাঁচা আম হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে কাঁচা আমে থাকা গ্যালিক অ্যাসিড। এতে মেটাবলিজম বাড়ে এবং ওজন কমে।
চোখের জ্যোতি বাড়ায় : লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন নামের দু’টি যৌগ পাওয়া যায় কাঁচা আমে। এগুলো দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য বজায় রাখে। কাঁচা আমের মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
আলসার সারিয়ে তোলে : মুখের ভিতর ঘা, আলসার, মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্ষত, ঘা, আলসারের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
ত্বকের যত্ন নেয় : গরমে ঘামাচির চুলকানিতে অস্থির? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ কাঁচা আম খান। কাঁচা আমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলতেও সহায়ক এই ফল।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel