জুমবাংলা ডেস্ক : হিলি স্থলবন্দরে পাইকার না থাকায় গরমে আড়তে থাকা পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, স্থলবন্দরে কাঙ্ক্ষিত পেঁয়াজের পাইকার না থাকায় অনেক পেঁয়াজ অবিক্রীত রয়েছে। যে পেঁয়াজ লাভের আশায় আমদানি করে রেখেছিলেন; সে পেঁয়াজ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।
সংবাদিকের সঙ্গে কথা হয় শ্রমিক আলেয়া বেগমের। তিনি বলেন, এলাকায় অনেক পেঁয়াজের আড়ত রয়েছে। আড়তে আমরা সকাল থেকে পেঁয়াজ পরিষ্কার করি। এতে করে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা মজুরি পাই। এতে আমাদের দিন ভালোভাবে চলে যায়।এদিকে বতর্মান ব্যবসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আড়তদার আব্দুস সালাম বলেন, ‘পেঁয়াজের ব্যবসা আর ভালো লাগে না। কেন যে এই ব্যবসায় আসলাম। মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যবসা ছেড়ে দেই। কাঁচামাল এমন একটা ব্যবসা, কখনও লাখ টাকা লাভ আসে। কখনও আবার ২ লাখ টাকা চলে যায়। এভাবে অনেকে পুঁজি হারিয়ে পথে বসে গেছেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজগুলো বন্দরে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করিনি। অথচ সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি। ভালো মানের পেঁয়াজ ৪০-৪২ টাকা কেজি।
প্রতিদিন হিলির আড়তগুলোতে রংপুর, বগুড়া, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা পেঁয়াজ কিনতে আসেন।
পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হিলির আড়ত থেকে প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকি। তবে মাসজুড়েই পেঁয়াজের দাম নিয়ে একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। যে কারণেই আমরা অনেকটাই পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। মাঝে মধ্যে না কিনে থাকা যায় না।’
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বছরে ১ লাখ মেট্রিক টনের ওপরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর যখন দেশীয় পেঁয়াজের ঘাটতি শুরু হয়। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর- পর্যন্ত ঠিক ওই সময় ভারত নানা অজুহাতে টালবাহানা সৃষ্টি হয়। কখনও আমদানি মূল্যবৃদ্ধি। কখনও শুল্কায়ন বৃদ্ধি। কখনও আবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের হুমকি। এমন সব সিদ্ধান্তের কারণে আমদের বেশ বিপাকে পড়তে হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।