জুমবাংলা ডেস্ক : কেউ বলছেন তিনি গরীবের বন্ধু, কেউ বলছেন তিনি মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা। আসলে অল্প সময়ে তিনি সিলেটের ১১টি থানার সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন। তিনি যেন এ ভুবনের কেউ না, অন্য ভুবন থেকে আসা।
সংবাদ মাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন তার বিষয়ে মানুষ জানতে পারে তখন একের পর একের ইতিবাচক প্রশংসায় ভেসেছেন তিনি। সবারই যেন একই কামনা- দেশের প্রত্যেকটি বিভাগে, প্রত্যেক জেলায় জাতির এমন সূর্য সন্তানেরা দায়িত্ব পালন করুক।
যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। আস্থা ভরসার এক বাতিঘর।
বৈশ্বিক করোনায় মহামারির ছোবলে পড়ে যখন বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোকে লকডাউন করা শুরু হলো তথন নিমন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা ভীষণ সংকটের মধ্যে ডড়ে গেলেন। সিলেটেওে এর ব্যত্যয় ঘটতো না, যদি এসপি ফরিদের পুলিশ বাহিনী সাধারণ মানুষের পাশে না দাড়াতেন।
এখন সিলেটের আমজনতার মধ্যে এক সমীহের নাম এসপি ফরিদ। কথায় কাজে অমিল খোঁজে পায়নি কেউ। কাজের বলিষ্টতায় মানুষের মধ্যে আজীবন স্মরনীয় থাকবেন তিনি, তৃপ্তির গর্বিত আ্ওয়াজ তাকে নিয়ে অনেকের। সেবার এক অনন্য অইকন হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি। বিশেষ করে করোনা প্রাদূভার্ব ছড়িয়ে পড়ার পর সামনে থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে তার ভূমিকা অন্য যেকারো থেকে আলাদা। মাঠে ময়দানে সর্তক-সচেতনায় উজাড় করছেন দিচ্ছেন তিনি ও তার বাহিনী।
জৈন্তাপুর থানায় শ্রমজীবি মানুষকে চেয়ারে বসিয়ে মর্যাদা সহকারে সহায়তার নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার এ সহায়তা প্রদান সত্যিকার অর্থে স্বাভাবিক হলেও আমাদের সমাজে যেন আকাশছোঁয়া কল্পনা। স্বাভাবিক কাজটি অস্বাভাভিক পরিস্থিতিতে করিয়ে দেখিয়ে দিলেন শুধু দৃষ্টিভংগির পরিবর্তনই যথেষ্ট। তার এই বিতরন অনুসরনীয়, করোনা সর্তকতার জন্য চলমান সময়ে পারপেক্টও।
তিনি শুধু করেনি, পথও দেখিয়ে দিয়ে রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন। আগেভাগেই আবার ঘোষনা দিয়েছেন তার অধীনস্থ ১১ থানায় খাধ্য সংকটে থাকা মধ্যবিত্ত বা নি¤œ মধ্যবিত্তদের সহায়তা দিবে তার পুলিশ। শুধু ঘোষনা নয়, ঘরে পৌছে দেয়ার দায়িত্ব্ও নিয়েছেন তিনি। শুধু এক ফোন (০১৭৬৯-৬৯২ ৯৭৮) কল করেই জানিয়ে দিতে হবে প্রয়োজন। না হলে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কেউ যোগাযোগ করলে এই খাদ্য সহায়তা বাড়িতে পাঠানো হবে, জানান সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
সহায়তা বিতরণ কালে সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন হয়ে থাকতে গিয়ে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন৷
আমরা সরকারের পাশাপাশি কিছুটা হলেও এসব প্রান্তিক শ্রমজীবিদের খুঁজে বের করে এবং গৃহবন্দি অবস্থায় যারা আছেন তাদের খুঁজে বের করে তাদের দুয়ারে সহায়তা পৌছে দিচ্ছি৷ আমাদের এই সহায়তা অব্যহত থাকবে৷ তিনি আরও বলেন এ অঞ্চলে অনেকের সামর্থ আছে আমি তাদের প্রতি অনুরোধ করব আপনারাও শ্রমজীবিদের পাশে দাঁড়ান।
জানা গেছে, তার নেতৃত্বে জেলা পুলিশ করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সাধ্যমতো হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাধারন মানুষের পাশে। এখন নিয়েছেন বাড়তি সেবার পদক্ষেপ। ঘরে থাকুন পুলিশ আসবে আপনার দরজায়, আপনার প্রয়োজনে। তার এ জনবান্ধব মনোভাব পুলিশী সেবার মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলেও, সাধারন মানুষের নিকট যেন সত্যিকার এক ত্রানকর্তার স্বরূপ তিনি। কারন সেবার নাম শুনলেও অতীত বাস্তবে দেখেনি বলেই, মানুষের মধ্যে এসপি ফরিদ পুলিশ নয়, যেন এক ফেরেস্তা। সচেতন মানুষের ভাষায়, রূপকথায় নয় বাস্তবের ফিনিক্স পাখি যেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।