গরুর জন্য আবাসিক হোটেল, খুশি ব্যবসায়ীরা
জুমবাংলা ডেস্ক: রংপুর মহানগরীতে গড়ে উঠেছে গরুর আবাসিক হোটেল। ব্যতিক্রমধর্মী ওই আবাসিক হোটেল ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প খরচে নিরাপদ নিরাপত্তা বলয়ে গরুর পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও পাচ্ছেন আবাসিক সুবিধা। চ্যানেল ২৪ এ প্রতিবেদক ফখরুল শাহীন-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা রংপুরের হাটগুলো হতে গরু ক্রয় করে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে নেয়ার জন্য এখানে গরুকে নিয়ে রাত যাপন করেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন। তেমনি তাদের পশুর সেবাও নিশ্চিত হচ্ছে ওই আবাসিক হোটেলে। এখানে রয়েছে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা। গরুর সার্বক্ষণিক দেখাশোনায় আছেন চারজন কর্মচারী।
রংপুর মহানগরীর প্রবেশমুখে মর্ডান মোড়ের ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকায় গরুর ওই আবাসিক হোটেলের অবস্থান। এখন গরু কম হলেও কোরবানি ঈদ এলে এই আবাসিক হোটেলে ব্যবসা আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। আবাসিক হোটেলে রয়েছে গরুর জন্য নির্ধারিত স্থান এবং থাকা-খাওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।

জানা গেছে, রংপুরের বিখ্যাত লালবাগ হাট, বড়াইবাড়ি হাট, শঠিবাড়ি হাট, আমবাড়ি হাট, বেতগাড়ি হাট, বুড়িরহাট, তারাগঞ্জ, মধুপুর, খানসামা, আফতানগরসহ ও আশপাশের জেলার বিভিন্ন হাট থেকে গরু ক্রয় করেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই সেই গরু ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। তবে গরু কিনে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে অনেক ব্যবসায়ী বা ক্রেতাই গরুকে ঠিকমতো খাওয়াতে না পারাসহ বিশ্রাম করতে না পেরে হাঁপিয়ে ওঠেন। তাদের সুবিধার্থেই এই আবাসিক হোটেল গড়ে তুলেন সৌখিন এক উদ্যোক্তা।
প্রতিটি গরু বাবদ ৬০ টাকা করে নেয়া হয়। সেখানে ১০০ গরু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। রাত্রি যাপনের পরে এখান থেকে ট্রাকযোগে বিভিন্নস্থানে গরু পাঠানো হয়।
আবাসিক হোটেলের উদ্যোক্তার নাম আসানুর রহমান। তিনি নগরীর টার্মিনাল বড়বাড়ি দেওডোবা এলাকার বাসিন্দা। সাত-আট বছর আগে মর্ডান মোড় সংলগ্ন বারো আউলিয়া এলাকায় তিনি গরুর হোটেলটি তৈরি করেন।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.