লাইফস্টাইল ডেস্ক : সুষম খাদ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল, আমন্ড। আবার আমন্ড দুধে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস-সহ বিভিন্ন খনিজের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন-ই থাকে। এগুলি বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন বহু মানুষ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমন্ড দুধ রাখেন।
পুষ্টিগুণে ভরপুর আমন্ড-দুধে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, ফসফরাসের মতো বিভিন্ন খনিজ থাকে। যার ফলে ওজন কমানো, হাড় ঠিক রাখা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো থেকে ডায়াবেটিস- বিভিন্ন রোগের সমাধানে আমন্ড-দুধ খুবই উপকারী।
আমন্ড-দুধ কোলেস্টেরল-মুক্ত এবং কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এছাড়া আমন্ড-দুধে ভিটামিন-ই থাকে। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ফলে হার্ট সুস্থ রাখতে আমন্ড-দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
আমন্ড-দুধে গ্লাইসেমিক সূচক কম। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রার উপর ন্যূনতম প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। সেজন্য ডায়াবেটিক রোগীরাও আমন্ড-দুধ খেতে পারেন।
গরুর দুধের তুলনায় আমন্ড-দুধে ক্যালোরিও কম থাকে। তবে পুষ্টিগুণ কোনও অংশে কম নয়। উদ্ভিদ-জাত হওয়ায় এটি ল্যাকটোজ-মুক্ত। তাই যারা শরীরের ওজন নিয়ে সচেতন এবং কম ক্যালোরির খাবার খান, তাদের জন্য গরুর দুধের অন্যতম বিকল্প এটি।
গরুর দুধে প্রোটিন বেশি থাকায় অনেকেরই হজমের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু, আমন্ড-দুধ গরুর দুধের তুলনায় সহজপাচ্য। উপরন্তু, আমন্ড-দুধে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। যা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
আমন্ড-দুধ বাড়িতেই তৈরি করা যায়। আমন্ড-দুধ ঘরে তৈরি করতে কেবল আমন্ড বাদাম এবং কিছুটা পরিমাণ বাদাম-দুধ প্রয়োজন। ঘরে আমন্ড দুধ তৈরি করলে চিনির পরিমাণও প্রয়োজন মতো দিতে পারেন। আমন্ড-দুধ তৈরির রেসিপি দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
আমন্ড-দুধ তৈরি করতে প্রথমে ১ কাপ কাঁচা বাদাম সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে বাদামগুলি ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার ভাল করে আমন্ড পেস্ট করে ৪ কাপ জল দিয়ে সেটা মিশিয়ে একটি মিশ্রণ করুন। এবার সেই মিশ্রণ একটি বাটিতে ভাল করে ছেঁকে নিন। ব্যস, আমন্ড-দুধ তৈরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।