ঘটনার রাতে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে প্রতিপক্ষের লোকজন সেখানেও উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় হা’মলার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শফির ছেলে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের তমিজের ভাতিজি জামাই মামুনের সঙ্গে একই গ্রামের শফির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরেই গত রোববার সন্ধ্যায় তমিজের সঙ্গে শফির বাকবি’তণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তমিজের নেতৃত্বে তার সঙ্গীরা দেশীয় অ’স্ত্র দিয়ে মুদি দোকানদার শফির ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পি’টিয়ে ও কু’পিয়ে জ’খম করেন। এ সময় শফির চিৎকারে তার ভাগ্নে আল আমিন এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করেন তারা। এ সময় তারা শফির দোকান থেকে থাকা নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত শফি বলেন, ‘তমিজের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মামুন ধারালো অ’স্ত্র নিয়ে আমার মাথায় কোপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। কোপ দেওয়ার আগে সে আমাকে বলে গরু কোরবানির আগে আজ তোকে কোরবানি দেবো।’
আহত সফির ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার রাতে আহত অবস্থায় বাবাকে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় থানায় আসি। বাবার মুমূর্ষু অবস্থা দেখে ডিউটি অফিসার বলেন, “আগে চিকিৎসা করুন, পরে আইনি ব্যবস্থা”।’
এদিকে, আজ বুধবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম বিধায় বিষয়টি আমার জানা নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।