আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ধর্ষণের শিকার তরুণী চেয়েছে বিচার। কিন্তু বিচারকের আসনে যারা, তারা দিলেন এক অদ্ভুত রায়। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া কিশোরীকে তার সন্তান বিক্রি করে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার পরামর্শ দিলেন তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের মুজাফফর জেলার কাটরা গ্রামে।
মুজাফফর জেলার কাটরা গ্রামের একটি মসজিদে মকবুল নামে এক মাওলানা থাকতেন। গ্রামের লোকজন তার খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্থানীয় এক দিনমজুরের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ঠিক করেন। প্রতিদিন মেয়েটি খাবার নিয়ে যাওয়ার ফাঁকে একদিন মিষ্টিতে নেশার ওষুধ মিশিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন মকুবল। এরপর এ ঘটনা কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দিয়ে টানা দুই মাস ধর্ষণ করেন তিনি।
এদিকে, এ ঘটনার কথা জানতে পারেন শোয়েব নামে ওই গ্রামের এক ইলেকট্রিশিয়ান। পরে শোয়েবও মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়া ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করেন।
মেয়েটি স্থানীয় মাদ্রাসার অধীনে থাকা পঞ্চায়েত কমিটির কাছে বিচার চায়। কিন্তু ন্যায় বিচার দেওয়ার বদলে উল্টো ওই কিশোরীকেই অপদস্থ করে পঞ্চায়েত কমিটি। ধর্ষণের জন্য তাকেই দোষী সাব্যস্ত করে পঞ্চায়েত কমিটি।
এখানেই থেমে থাকেনি পঞ্চায়েত কমিটি, নিজের গর্ভজাত সন্তানকে বিক্রি করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ক্ষতিপূরণ নিতে বলেন তারা।
পঞ্চায়েত কমিটির এমন রায়ে হতবাক হয়ে যায় ওই তরুণী ও তার পরিবার। পরে তারা বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন। এতে দুই ধর্ষকের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সদস্যদেরও অভিযুক্ত করা হয়।
মুজাফফরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পূর্ব) অমিতেশ কুমারের নেতৃত্বে একটি দল অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন। তাদের ছবি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।