রঞ্জু খন্দকার, গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধার খুচরা বাজারে ফুলকপির দাম আবারও কমেছে। আকারভেদে শীতের এ সবজির জোড়া এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ফলে কেউ কেউ গরুর খাবার হিসেবে ফুলকপি কিনছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলার ঘোড়াবান্ধা চৌরাস্তা বাজারে আসা ক্রেতা শামসুল আলম বলেন, এখানে বড় আকারের তিনটি ফুলকপি ২০ টাকা ও মাঝারি ফুলকপির জোড়া ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তিনি ১০ টাকা করে কয়েক জোড়া ফুলকপি কিনেছেন গরুকে কেটে খাওয়ানোর জন্য।
গতকাল শুক্রবার চৌরাস্তা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এখানে দুটি রাস্তা পরস্পরকে সোজাসুজি পার হয়ে চারদিকে গিয়েছে। এই চৌরাস্তার মোড়ে বড় একটি পাকুড় গাছ। মোড়ের নাকাইহাট সড়কের পূর্বপাশে ফুলকপির স্তূপ নিয়ে বসেছেন এক বিক্রেতা।
ওই বিক্রেতা হাঁকছেন– ২ ফুলকপি ১০ টাকা, ৩ ফুলকপি ২০ টাকা।
২টি ফুলকপি ১০ টাকা হলে ৩টির দাম ২০ টাকা কীভাবে– জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, তিনি বড় ফুলকপি ৩টি ২০ টাকা করে বিক্রি করছেন। আর মাঝারি ফুলকপির জোড়া দিচ্ছেন ১০ টাকায়।
সরজমিনে আরও দেখা যায়, ফুলকপির স্তূপ ঘিরে ধরেছেন ক্রেতারা। কেউ বড়, কেউ মাঝারি ফুলকপি বাছাই করে কিনছেন।
এখানে বাজার করতে আসা মাসুদ ব্যাপারী বলেন, তার বাড়িতে কয়েকটি গরু আছে। এখন গোখাদ্যেরও দাম বেশি। যেহেতু ফুলকপির দাম কম, তাই এই সবজিই গরুর খাবার হিসেবে কিনে নিচ্ছেন।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, এবার শীতের শুরুতেও ফুলকপির দাম কমছিল না। তখন এই সবজি প্রতিটি ৭০/৮০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। এরপর বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ফুলকপির দাম কমতে থাকে।
ক্রেতাদের একজন সোফায়েল আহমেদ বলেন, মাসখানেক আগেও ফুলকপির জোড়া ১০ টাকায় নেমেছিল। তখন বড় আকারের ফুলকপিই এই দামে পাওয়া গেছে। সে সময়ও অনেকে গরুর খাবার হিসেবে ফুলকপি কিনেছেন। এবার দাম অতটা না কমলেও কেউ কেউ গোখাদ্য হিসেবে ফুলকপি নিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েকজন বিক্রেতা জানান, মাঠে একবারে অনেক ফুলকপি ফললে বাজারে ফুলকপির সরবরাহ বাড়ে। মাসখানেক আগে বগুড়ার মহাস্থানগড়সহ উত্তরাঞ্চলে সবজির বড় মোকামগুলোয় প্রতিটি ফুলকপি ২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তখন গাইবান্ধার খুচরা বাজারে এই সবজি প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ৫ টাকায়। এবারও মোকামে ফুলকপির সরবরাহ বেশি। তাই দাম কম।
চৌরাস্তা বাজারের বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা পলাশবাড়ীর ধাপেরহাট, রংপুরের চতরাসহ আশপাশের মোকাম থেকে সাধারণত সবজি পাইকারি কেনেন। কোনো সময় কৃষকের খেত থেকেও আনেন। পাইকারিতে দাম কম পেলে তারা খুচরায়ও দাম কম ধরেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।