জুমবাংলা ডেস্ক: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধা জেলা আবারও বন্যার কবলে পড়েছে। সোমবার গভীর রাতে জেলার পলাশবাড়ির টোংড়াদহ নামক স্থানে করতোয়া নদীর বাঁধ ভেঙে আশপাশের গ্রাম, গোবিন্দগঞ্জের হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ২১টি গ্রাম। খবর ইউএনবি’র।
পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকসেদ চৌধুরী বিদুৎ জানান, করতোয়া নদীর ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি ঢুকে গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি ও গাইবান্ধা সদরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, বন্যার পানি ঢুকে গোবিন্দগঞ্জ শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাব রেজিস্ট্রার অফিসসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জাসদ নেতা নুরুজ্জামান প্রধান বলেন, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি উপজেলার অন্তত ২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ, ঘোড়াঘাট –দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে পানি উঠতে শুরু করেছে।
এছাড়াও জেলার তিস্তা যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাটসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান।
নতুন করে এই বন্যায় করতোয়া নদীর বাঁধ ভেঙে পানিতে ডুবে গেছে নদী তীরবর্তী ২১টি গ্রামের কলা, আখ ও রোপা আমনসহ বিভিন্ন শাক সবজি ক্ষেত। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার পরিবার। এসব এলাকায় এখনও সরকারি-বেসরকারি কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।