গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার খলাহাটি ইউনিয়নের ফকির পাড়া এলাকায় ঘাঘট রক্ষা বাঁধের ১৫০ ফুট এবং গদার হাট এলাকার সোনাইল বাঁধের ১০০ ফুট ধসে গেছে। ফলে প্রায় ১৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ওয়াপদা বাঁধ ধসে প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০টি বাড়ি ঘর ভেসে গেছে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ১১১ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি পানি বিপদ সীমার ৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর পানি ৫ সে.মি. হ্রাস পেয়ে বিপদ সীমার ১১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে করতোয়া নদীর পানি এখন বিপদ সীমা ছুই ছুই করছে।
এদিকে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ জুমবাংলাকে জানিয়েছেন, বন্যার্ত মানুষের চিকিৎসা সহায়তায় চারটি উপজেলায় ১০০টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।