আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আল-ফালাহ স্কুলে হামাসের একটি কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
তাদের দাবি, এই সেন্টার থেকে হামাস ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা করছিল।
যুদ্ধের সময় বন্ধ থাকা এই স্কুলটি আশ্রয়হীন মানুষের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি কমাতে নির্ভুল অস্ত্র ও বিমান নজরদারি ব্যবহার করেছে। তবে বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করার কারণে হামাসকেই দায়ী করেছে।
তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা স্কুলসহ অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনা সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে না।
গাজার হামাস পরিচালিত সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, শনিবার আল-জায়তুন এলাকায় হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৩টি শিশু ছিল। যার মধ্যে তিন মাস বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া ছয়জন নারী-নিহত হয়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি একই মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও ছিলেন।
শনিবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মুসাবাহ এলাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গুদামকে টার্গেট করে ইসরায়েল হামলা চালায়। এতে মন্ত্রণালয়ের চারজন কর্মী নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে তারা এই ঘটনাটি বিমান হামলা কি না, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একাধিক স্কুলেও আঘাত হানা হয়েছে।
এর আগে এই মাসের শুরুতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছিল, নুসেইরত শরণার্থী শিবিরে আল-জাউনি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের ছয়জন কর্মী নিহত হয়েছে। এই স্কুলটি হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
সংস্থাটি জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত পাঁচটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সুনির্দিষ্টভাবে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে। তারা স্কুল থেকে হামলার পরিকল্পনা করছিল। সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতদের মধ্যে ৯ জন হামাসের সশস্ত্র শাখার সদস্য এবং তাদের মধ্যে তিনজন শরণার্থী সংস্থার কর্মী ছিলেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এর জবাবে ইসরায়েলও গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। যে অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে।
সূত্র : বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।