গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫৬ জনে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলুর।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মরদেহ, যার মধ্যে দুটি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালে আনা হয়েছে। একই সময়ে আরও ২০০ জন আহত হয়েছেন। এতে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯ জনে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে আছেন, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় আরও ১৪ জন নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে চলতি বছরের ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৯ জনে এবং আহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯১ জন।

তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই ফিলিস্তিনি অপুষ্টি ও অনাহারে মারা গেছেন, তাদের একজন শিশু। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুধা-সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৩ জনে, যার মধ্যে ১৪৩ শিশু। জাতিসংঘ-সমর্থিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) গাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দুর্ভিক্ষ অঞ্চল’ ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৫ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ২৮ শিশু রয়েছে।

এদিকে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্যসংকটে পড়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইলের নতুন করে হামলা শুরু করার পর অন্তত ১২ হাজার ২০৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫২ হাজার ১৮ জন আহত হয়েছেন। এতে জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে যায়।

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলাও চলছে।