আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বেশ কয়েকটি সংশোধনীসহ বহুস্তরীয় প্রস্তাবে সাড়া দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র গাজা যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য ‘এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করতে’ কাজ করছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ঠা জেক সালিভান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, হামাসের দাবি করা পরিবর্তনগুলোর কয়েকটি ‘সামান্য ও ছোটখাটো’ এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। কিন্তু অন্য কয়েকটি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেয়া বা জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমদিত রূপরেখার সাথে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে সালিভান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি ইসরাইলের একটি প্রস্তাব। সালিভান বৃহস্পতিবার বলেন, ইসরাইলিরা এর ‘পক্ষে রয়েছে’।
মিডল ইস্ট ইন্সটিটিউটের আরব উপদ্বীপবিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক জেরাল্ড ফিয়ারস্টেইন বলেন, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি আলোচনা কিছুটা বিভ্রান্তিকর ছিল।
তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রাথমিক পর্যায়ে যুদ্ধ বন্ধ, গাজা থেকে কয়েকজন পণবন্দীর মুক্তি, ইসরাইলের হাতে আটক কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের তাদের বাড়িঘর ও আশেপাশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে গাজায় পণবন্দীদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিনিময়ে সহিংসতা স্থায়ীভাবে অবসান ঘটানোর কথা বলা হয়েছে।
চূড়ান্ত পর্যায়ে গাজা উপত্যকার জন্য একটি বহু বার্ষিক পুনর্গঠন পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গাজার বেশিরভাগ অংশ ইসরাইলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে গাজায় এখনো যেকোনো মৃত পণবন্দীদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজাজুড়ে ৪৫টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা এলাকায় স্থল অভিযান ও বিমান হামলার পাশাপাশি গাজার মধ্যাঞ্চলে অভিযানের কথাও জানিয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।