আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য জীবন-মরণ এক করে লড়াই করে যাচ্ছে গাজার নির্ভীক যোদ্ধারা। এমন সময়েও দেশটির অপরপ্রান্তে ইসরায়েলিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার নেশায় মশগুল হয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
নির্বিচার ইসরায়েলি হামলার মুখেও বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ না গড়ে বরং তেলআবিবের লেজুড়বৃত্তিতেই মনোযোগ তার দল ফাতাহ’র। শুধু তাই নয়, ছদ্মবেশে ইসরায়েলকে সহায়তাও করছে পশ্চিম তীরের ক্ষমতাসীন এ দলটি। সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
গাজায় যুদ্ধরত স্বাধীনতাকামী দল হামাস জানায়, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য উত্তর গাজায় আসা ত্রাণের ট্রাকের সঙ্গে উপত্যকাটিতে প্রবেশ করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পুলিশ বাহিনী। পশ্চিম তীরের এসব পুলিশ সদস্যরা ট্রাকের নিরাপত্তার অজুহাতে সেখানে প্রবেশ করেছে বলে জানায় গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেসরকারি টিভি চ্যানেল আল-আকসা টিভিকে জানান, পশ্চিম তীরের নিরাপত্তা বাহিনীর দলটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গোয়েন্দাপ্রধান মাজেদ ফারাজ। তবে হামাসের এমন দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ফাতাহ নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
হামাস জানায়, মিসরের রাফাহ সীমান্ত হয়ে আসা ত্রাণের ট্রাকের সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় দলের বাকি সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় গাজার ক্ষমতাসীন দলটি।
হামাসের কর্মকর্তারা জানান, মিসরীয় রেড ক্রিসেন্টের ট্রাকের সঙ্গে প্রবেশ করা সন্দেহজনক নিরাপত্তা বাহিনী ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সমন্বয় করেছে।
হামাসের এমন দাবিকে অগ্রাহ্য করে ফাতাহ জানায়, এই মুহূর্তে এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনোপ্রকার মন্তব্য করবে না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এই মুহূর্তে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এমন কোনো মন্তব্য করার আগ্রহ নেই যা গাজার জনগণের হত্যা, ক্ষুদা আর বাস্তুচ্যুতি থেকে সকলের নজর অন্যদিকে সরিয়ে নেয়।
অন্যদিকে, হামাস গাজায় কর্মরত পুলিশ বাহিনী এবং দলটির সামরিক বিভাগের সদস্যদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে যে, কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে গাজায় প্রবেশ করলে তাদের সঙ্গে ‘দখলদার বাহিনী’ হিসেবে আচরণ করতে।
২০০৭ সালে নির্বাচনে বিজয়ের পর এখন পর্যন্ত স্বাধীনভাবে গাজা শাসন করছে স্বাধীনতাকামী দলটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।