ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সহিংসতায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৬৫ হাজার ১৪১ জনে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের মধ্যে অনেকের মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ২২৮ জন, ফলে এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জনে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৩ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে শুরু হওয়া ত্রাণবাহী হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৫১৩ ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৪১৪-এ পৌঁছেছে।
এছাড়া, অপুষ্টি ও অনাহারে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে শিশু রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে, এদের মধ্যে ১৪৭ জন শিশু।
ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখায় ২৪ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইপিসি জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে ৩২ শিশুসহ ১৫৭ জন অনাহারে মারা গেছে।
দুই দিক থেকে গাজা শহরের কেন্দ্রে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল তা অমান্য করছে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয় ও তীব্র সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সংকট দিনে দিনে গভীরতর হচ্ছে।
গাজার শহরে ইসরায়েলি সেনাদের আগ্রাসন, বাসিন্দারা উপকূলের দিকে সরছেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।