আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ১১ দিনে ইসরায়েলি বোমা হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। বাস্তুচ্যুতদের বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছেন জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির আওতাভুক্ত আশপাশের ৫৮টি স্কুলে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আগে থেকেই বাস্তুচ্যুত হওয়া পরিবারগুলোর সঙ্গে। খবর আল জাজিরা’র।
বাস্তুচ্যুতদের সাহায্য ও গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে অবিলম্বে ৭০ লাখ ডলারের আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত ১০ মে শুরু হওয়া এ সংঘাতে নিহত হয়েছেন মোট ২৩২ জন ফিলিস্তিনি। নিহতের তালিকায় রয়েছে ৬৫ শিশুও।
আপাতত মনে হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল থেমেছে গাজা উপত্যকায়। কারণ বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে যুদ্ধের ইতি টেনেছে হামাস ও ইসরায়েল। অবশ্য এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি হামাস ও নেতানিয়াহু প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যগুলোয় যুদ্ধবিরতির খবর প্রকাশের পর গাজা এবং ফিলিস্তিনের রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে। এসময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করেন এবং বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এছাড়া গাজার মসজিদগুলো থেকে মাইকে আল্লাহর প্রশংসাসূচক বক্তব্যও শোনা যায়।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। যেখানে তিনটি ধর্মের পিঠস্থান আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে অবরুদ্ধ করে নেয়, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই স্বীকৃত দেয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।