আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় প্রায় এক বছর ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন হামাস যোদ্ধারা। এরই মধ্যে তাদের বহু সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরও ইসরায়েলের এই অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। খবর আরব নিউজের।
গত মাসে নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইয়েমেনের মিত্রদের উদ্দেশে একটি চিঠিতে বলেছেন, আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটি যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছি।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার জানান, গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যের ইরান সমর্থিত অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে শত্রুদের রাজনৈতিক মনোবল ভেঙে দেয়া হবে। এই মিত্রদের মধ্যে লেবানন ও ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছেন।
হুতি বিদ্রোহীদের উদ্দেশে দেয়া চিঠিতে তিনি বলেন, আপনারা ও আমরা একসঙ্গে লেবানন ও ইরাকের গোষ্ঠীগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই শত্রুদের মনোবল ভেঙে ফেলবো এবং তাদের পরাজয় ঘটাবো।
এর আগে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিহত হামাস যোদ্ধাদের জায়গা নিতে নতুন প্রজন্মের সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো উচ্চ ক্ষমতা রয়েছে তাদের। যদিও গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট বলেন, গাজায় একটি সামরিক গোষ্ঠী হিসেবে হামাসের অস্তিত্ব নেই।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে তাদের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।