নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত দেশের একমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আবারও নাম পরিবর্তনের পথে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সরকার নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান নাম পুনরায় পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে।
গত ২৬ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি এই খসড়া অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে। এখন উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রস্তাবটি। অনুমোদন পেলে এটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় নাম পরিবর্তন।
এর আগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ‘ থেকে পরিবর্তন করে ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ রাখা হয়। সে সময় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছিল।
তবে নতুন নামেও শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হননি। তাঁদের মতে, ‘গাজীপুর‘ শব্দটি যুক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতির ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ও অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। এই দাবিকে সামনে রেখে তাঁরা স্মারকলিপি দেন এবং আন্দোলনে নেমে পড়েন। ১৯ মে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রস্তাবিত নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।
আলোচনার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের সুপারিশে চারটি নাম প্রস্তাব আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত নামগুলো হলো:
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্স টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এই চারটির মধ্যে ‘ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ’ নামটি বেছে নেওয়ার সুপারিশ করে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। তখন থেকেই এর লক্ষ্য ছিল বিশ্বমানের প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণায় দেশকে এগিয়ে নেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঘিরে চলমান আলোচনার প্রেক্ষাপটে এবার হয়তো একটি স্থায়ী ও আন্তর্জাতিক উপযোগী নামের দিকেই যাচ্ছে এই বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।