নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষকের উন্নয়নে কাজে আসিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) নির্মিত সোলার প্যানেল সিস্টেম কৃষি সেচপাম্প। এতে সরকারি প্রকল্পের সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শতাধিক কৃষক।এই প্রকল্পটি কৃষি এবং কৃষকদের উন্নয়নে কোনো কাজে আসছে না বলে জানান স্থানীয়রা।জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ধান এবং রবিশস্য আবাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নান্দিয়া সাঙ্গুন এলাকায় একটি সোলার প্যানেল সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়।
প্রকল্পটিতে ব্যয় হয় ৩৫ লাখ টাকা। এ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে কম খরচে কৃষকদের সেচ সুবিধা পাওয়ার কথা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় জমি রয়েছে প্রায় ৫০ বিঘা। বোরো চাষের মৌসুম শীত কাল। এসময় পর্যাপ্ত সূর্য়ের আলো পায়না পাম্পের সৌরপ্যানেল গুলো। তাই চাহিদামতো জমিতে পানি দেয়া যায় না।
এছাড়া পাম্পটি অপেক্ষাকৃত নদীর কম গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। নদীর পানি একটু নিচে নেমে গেলে আর পানি উঠেনা। সে জন্য কৃষকরা এ পাম্পের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। সৌর সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার আবু নাসের জানান, এ প্রকল্প থেকে প্রতি বছর সরকারকে ১৫ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দিতে খরচ পরে তিনশত টাকা।
চাহিদা মতো পানি না পাওয়ায় কৃষকরা বাড়তি খরচে বিদ্যুৎ চালিত পাম্প হতে সেচ দিয়ে থাকে। কৃষকরা সেচ ব্যবহার না করায় দু-চারজনকে সরকারী কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। কৃষক মুসলেম উদ্দিন বলেন, আমি বিদ্যুৎ চালিত মোটর দিয়ে বোরো ধানের জমিতে পানি দিচ্ছি। বর্তমানে তেল এবং বিদ্যুতের দাম বাড়তি। বিএডিসির সোলার সেচে পানি না উঠার কারণে বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচে বিদ্যুৎ চালিত মোটর দিয়ে আবাদ করছি।
কৃষক আবুল কাশেম বাদল বলেন, পাম্পে পানি কম উঠার কারণে কৃষকরা এই সেচের আওতায় জমিতে পানি দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তারা বাড়তি খরচে বিদ্যুৎ চালিত মোটরে সেচ দিচ্ছে। যেহেতু সৌর সেচ প্রকল্পে খরচ কম, তাই ছোটখাটো সমস্যা গুলির সমাধান হলে কৃষকের উপকার হত।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন গাজীপুর (ক্ষুদ্র সেচ) কালিগঞ্জ শাখার সহকারী প্রকৌশলী ইফতেখার আলম জানান, ওরা দুই বছর যাবত কোন ভাড়া দেয় না। ভাড়া চাইতে গেলেই যত সমস্যা। কাওরাইদ ইউনিয়নে সৌর বিদ্যুৎ চালিত আরো তিনটি সেচ প্রকল্প রয়েছে। কোথাও এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি।
প্রত্যেকটা প্রকল্পের আওতায় ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমি রয়েছে। যত সমস্যার কথা শোনা যায় সব নান্দিয়া সাঙ্গুনে। আমাদের পাম্প হচ্ছে এক কিউসের, আর এখানে পানি উঠছে দেড় কিউসের। তারপরেও যদি কোন ধরণের সমস্যা থাকে তাদেরকে আমাদের কাছে আসতে হবে। সমস্যার কথা বলতে হবে। আমরা ব্যবস্থা নিবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।