নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার কাশিমপুর এলাকায় গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টস কারখানায় ডাইং সেকশনের শ্রমিক হৃদয়কে (১৯) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা। সোমবার (৩০ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গার্মেন্টস অধিকার সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভানেত্রী তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশের সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এএএম ফয়েজ হোসেন ও গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক বিপ্লব।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার (২৮ জুন) সকালে গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের নিরাপত্তাকর্মীরা হৃদয়কে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আটক করে। পরে তাকে কারখানার একটি কক্ষে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দুপুরেই তার মৃত্যু হয়।
খবরটি আশপাশের অন্যান্য কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ৪০০-৫০০ শ্রমিক টাঙ্গাইল-গাজীপুর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের সামনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় তারা হৃদয়ের মরদেহের সন্ধান চাইলে জানানো হয় যে, মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গিয়ে শ্রমিকরা মরদেহটি শনাক্ত করেন।
নেতারা বলেন, “হৃদয় হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গার্মেন্টস খাতে এ ধরনের নির্যাতন প্রায় নিয়মিত হয়ে উঠেছে। শ্রমিকরা অধিকারের কথা বললেই তাদের দমন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের দায় শুধুমাত্র নিরাপত্তাকর্মীদের নয়, মালিকপক্ষ ও কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও সমানভাবে দায়ী। তাদের নির্দেশ ও মদদ ছাড়া এই নির্যাতন সম্ভব নয়।”
তারা অবিলম্বে হৃদয় হত্যায় জড়িত সব ব্যক্তিকে—মালিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের—গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।