নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীফুর: গাজীপুরে এলপিজি গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. আবু রায়হান (৩২) নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকস কারখানার এলপিজি গ্যাসলাইনে কাজ করতে গিয়ে দগ্ধ হন।
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম আজ শুক্রবার সকালে রায়হানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রায়হান সাত দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর বাবা কাশিমপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় ছয়জন দগ্ধ হয়েছিলেন। ওই রাতেই তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আবু রায়হানের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন দগ্ধ অন্যরা হলেন—মো. রাহাত (৩২), মো. রেজাউল করিম (৫৫), রূপম (২৫), তানভীর (৩৭) ও মো. ফারুক (৫৫)। তাঁরা সবাই গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের কাজ করেন।
ঘটনার পর গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, গত ১১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় শাইনপুকুর সিরামিক কোম্পানিতে এলপিজি গ্যাসলাইন মেরামতের কাজ চলছিল। এ সময় একটি গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে মেরামত করার কাজে যুক্ত সবাই অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আব্দুল্লাহ আল আরেফিন আরও বলেন, দগ্ধরা কেউ শাইনপুকুর সিরামিকের কর্মচারী নন। তাঁরা মজুরির ভিত্তিতে গ্যাস সিলিন্ডার মেরামত করতে সেখানে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দগ্ধদের মধ্যে রূপম ৬ শতাংশ, তানভীর ১৬ শতাংশ, ফারুক ২১ শতাংশ ও রাহাত ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।