নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং সার্ভিস লিমিটেড (স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ) এর কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি, নাইট বিল এবং মেডিকেল ছুটি বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৮টা থেকে শ্রমিকরা কারখানার অ্যাসেম্বলী পয়েন্টে জড়ো হয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান ছিল বাৎসরিক বেতন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি, হাজিরা বোনাস ১ হাজার টাকা করা, নাইট বিল ২০০ টাকা এবং মেডিকেল ছুটি বাড়ানো। শ্রমিকরা দাবি জানিয়েছেন যে, যদি এই দাবি পূরণ না করা হয় তবে তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যে বিউটি, আমের আলী ও সুবাস জানালেন, আমরা এখানে আমাদের মৌলিক দাবিগুলো আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের প্রধান দাবি হলো বাৎসরিক বেতন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি, হাজিরা বোনাস ১ হাজার টাকা করা, নাইট বিল ২০০ টাকা এবং মেডিকেল ছুটি বাড়ানো। প্রতিদিন আমরা কঠোর পরিশ্রম করি, কিন্তু আমাদের শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না।
হাজিরা বোনাস ও নাইট বিল বাড়ানো আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, মেডিকেল ছুটির প্রয়োজনীয়তা আমাদের স্বাস্থ্য এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, যদি আমাদের এই দাবি পূরণ না করা হয়, তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।
আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শুনবে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। শ্রমিক হিসেবে আমাদের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আমাদের একতাবদ্ধতা এই দাবিগুলো আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের আন্দোলন চলবে যতদিন না আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ হচ্ছে।
স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের এডমিন অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বিজিএমইএ-এর ঘোষণা অনুযায়ী হাজিরা বোনাস ৭৫০ টাকা এবং নাইট বিল ১৫০ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকরা এটি মানছেন না। তারা ১৫ শতাংশ বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে, যা আমাদের এককভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। আশেপাশের অন্যান্য কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমরা সমস্যায় পড়বো। তাই এই দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তবে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে যাতে তারা কাজে ফিরে আসেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, সকাল থেকেই শ্রমিকরা তাদের দাবিগুলোর জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে, এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকদের মধ্যে শিগগিরই সমঝোতা হবে।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, শ্রমিকরা দুপুরের খাবারের বিরতিতে অবস্থান করছিলেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।