নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরের লবলঙ্গ নদের ৬ বিঘা জমি দখল করে ভবন নির্মাণসহ সীমানাপ্রাচীর করেছে ১৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠান তাদের বর্জ্য সরাসরি ফেলছে নদে। এতে কুচকুচে কালো হয়ে গেছে এর পানি।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মাপজোখ করে ইতিমধ্যে দখলদারদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিগগির লবলঙ্গ দখলমুক্ত করা হবে।
জবরদখলকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো পারফেট্টি ভেন, ভিনটেম ডেনিম অ্যাপারেল লিমিটেড, এক্স সিরামিক, ব্লু-প্ল্যানেট কোম্পানি লিমিটেড, নর্দান ক্লথিং লিমিটেড, নাইস স্পান, নাইস মাইক্রোফ্যাব লিমিটেড, জাবরা টেক্সটাইল, নাইস ডেনিম, ইসমাইল স্পিনিং ও স্বাদ টেক্সটাইল, বেঙ্গল গ্রানাইট এবং মার্বেল লিমিটেড ও ডেকো কোম্পানি লিমিটেড।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়েও উপজেলা প্রশাসনের তালিকার মিল পাওয়া যায়। দেখা যায়, উপজেলার গাজীপুর মাওনা ইউনিয়নে লবলঙ্গ নদের দুই পাশে অবস্থিত এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কারখানা থেকে রাসায়নিক যুক্ত বর্জ্য সরাসরি নদে ফেলা হচ্ছে। শিল্পমালিকেরা নদের জায়গা দখল করে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও সীমানাপ্রাচীর তৈরি করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পারফেট্টি ৩৩ শতাংশ, ব্লু-প্ল্যানেট কোম্পানি লিমিটেড ২৭, নর্দান ক্লথিং লিমিটেড ২৩, নাইস স্পান ১৯, ইসমাইল স্পিনিং ২০, বেঙ্গল গ্রানাইট এবং মার্বেল লিমিটেড ১৬ এবং ডেকো কোম্পানি লিমিটেড ৬ শতাংশ জমি জবরদখল করে বিভিন্ন স্থাপনাসহ সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছে।
দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে এক্স সিরামিক কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শামীম শেখ বলেন, ‘আমাদের জমি লবলঙ্গের উভয় পাশে থাকার কারণে নদ আমাদের কারখানার মাঝখানে। নদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে।’
পারফেট্টি কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা রুস্তম আলী ফরাজি বলেন, ‘নদের জমি জবরদখলের বিষয়টি জানা নেই। আপনি কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।’
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় লবলঙ্গ মাপজোখ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। নদের জমি জবরদখলমুক্ত করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উচ্ছেদের আবেদন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে লবলঙ্গ দখলমুক্ত হবে।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, আমি গত শুক্রবার দুপুরে লবলঙ্গের দখল-দূষণের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে এটি দখলমুক্ত হবে।
জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন বলেন, ইতিমধ্যে লবলঙ্গ মাপজোখ করে দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে লবলঙ্গ দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।