নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে পড়া না পাড়ায় এক শিশু শিক্ষার্থীর (১২) হাত–পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার উপজেলার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের ফকুরুদ্দিন মোড় এলাকার মাদরাসাতুল হামিদিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসাতে ওই ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের স্বীকার মাসুম হাসান (১২) উপজেলার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের শিপন মিয়ার ছেলে। সে মাদরাসাতুল হামিদিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। অভিযুক্ত মাদ্রাসার মুহতামিম মো. হালিম ও শিক্ষক মো. মান্নান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্র মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মান্নান এর আগেও ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছেন। মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুল হালিমের কাছে ওই ছাত্রের বাবা নালিশ করলেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। পড়া না পারার কারণে শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রকে হাত-পা-ঊরুতে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। বাড়িতে জানালে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখান ওই শিক্ষক। গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে মাদ্রাসায় খাবার দিতে গেলে ছেলের শরীরে আঘাতের দাগ দেখে অভিভাবকেরা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন।
নির্যাতনের শিকার ছাত্র বলে, ‘মান্নান হুজুর আগেও আমাকে মেরেছিল। শুক্রবার ভোরে আমি পড়া ভুল করে ফেলি। হুজুর ক্ষেপে আমাকে হাত–পা বেঁধে বেত দিয়ে হাতে পায়ে শরীরে মারে। তার হাতে পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে হুজুর আমার আঘাতে বরফ ঘষে দেন। আমাকে পানি, বিস্কুট, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়ান। পরে ভয় দেখান বাড়িতে জানালে আমাকে মাদ্রাসা থেকে বেড় করে দেবেন। শনিবার দুপুরে আমার মা শরীরে আঘাতের দাগ দেখতে পান।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নান ওই ছাত্রকে মারার বিষয়টি শিকার করে বলেন, ‘শাসন করতে অল্প মেরেছি। ছেলেটির গায়ের রং ফরসা। তাই দাগ হয়ে আছে।’
মাদ্রাসার মুহতামিম মো. হালিম বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। এভাবে মারপিট করা ঠিক হয়নি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।’
এ বিষয়ে জানতে ইউএনও শোভন রাংসার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকবর আলী খান জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।