নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলমগীর আল মামুন এ আদেশ দেন। এর আগে বিকেলে প্রিজনভ্যানে করে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেপ্তারদের পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের পেছনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জামালপুরের মেলান্দ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫) ও তার স্ত্রী গোলাপি (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোত হানিফের ছেলে আল-আমিন (২১), কুমিল্লার হোমনা থানার আন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাচবাড়ীয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে ফয়সাল হাসান (২৩) এবং শেরপুরের নকলা উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের আব্দিস সালামের ছেলে সুমন (২৬)।
পুলিশ কমিশনার জানান, ঘটনার দিন বাদশা নামে এক ব্যক্তি ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে ফিরছিলেন। এ সময় গোলাপি তাকে ‘হানিট্রাপে’ ফেলতে চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে বাদশা পালানোর চেষ্টা করলে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আসামিরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। প্রাণ বাঁচাতে বাদশা দৌড় দিলে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক তুহিন পেশাগত দায়িত্বে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন।
এ সময় আসামিরা তাকে ভিডিও মুছে ফেলতে বলে। তুহিন রাজি না হওয়ায় তারা নির্মমভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আটজনকে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি একজনকেও দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ত চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।