আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি গভীর রাতে স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করছিলেন ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তাকে দেখে সন্দেহ হয় টহল পুলিশের। এরপর তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের ইসলামপুর থানায়। মোহাম্মদ রফি, কিশোরকুমারের একের পর এক গান গেয়ে সেখানে সকলকে মাতিয়ে দেন তিনি। ছাড়া তো পানই, সঙ্গে থানায় অনুষ্ঠান করার জন্য তিনি হাতে পেয়ে যান অগ্রিম টাকা। আচমকা এমন সুযোগ পেয়ে খুশি ইসলামপুর মেলার মাঠের বাসিন্দা মোহাম্মদ আশফাক।
এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে, কী কারণে যেন রাতে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিল। থানায় নিয়ে আসার পর সে ব্যাপারে আশফাকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কর্মকর্তারা। তার হাতের আঙুলে প্রচুর আংটি ছিল। রসিকতা করে কেউ কেউ জানতে চান, তিনি হস্তরেখাবিদ কি না। জবাবে আশফাক জানান, তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বেড়ান। এভাবেই চলে রোজগার।
তাকে আইসির ঘরে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধে রফি, কিশোরের জনপ্রিয় কয়েকটি গান গেয়ে শোনান আসফাক। তার গলায় সে সব শুনে হতচকিত হয়ে যায় পুলিশ। থানার ‘টাউনবাবু’ সৌমিক চক্রবর্তী মোবাইল ফোনে আসফাকের গানের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ‘আপলোড’ করে দেন।
এ ব্যাপারে ওই সময় থানায় থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এত উঁচু স্কেলের গান প্রতিভা না থাকলে কেউ সহজে গাইতে পারবেন না। লোগ কহেতে হ্যায় ম্যায় শরাবি হুঁ, হাথো কি চন্দ লকিড়োঁ কা গানে মাতিয়ে দেন ওই যুবক। গান শুনে থানার পরের অনুষ্ঠানের জন্য তাকে ৫০০ টাকা অগ্রিম ধরিয়ে দেন আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়।
এ সময় শমীক বলেন, ‘তার মধ্যে আলাদা প্রতিভা রয়েছে। না-হলে এমন কঠিন গান এত সহজে গাইতে পারতেন না। থানার অনুষ্ঠানে তাকে গান করার কথা বলেছি। অগ্রিমও দিয়েছি। আশফাকের গানের ভিডিও ‘ফেসবুকে’ আসার পর থেকেই লাইক, কমেন্ট বেড়েই চলেছে।’
এদিকে ইসলামপুরবাসীর একাংশ বলছেন, রানাঘাট স্টেশন থেকে এভাবেই খোঁজ মিলেছিল রানু মণ্ডলের। ইসলামপুর স্টেশন চত্বরে খোঁজ মেলা আশফাকের গান যে রানুর মতোই নেট-দুনিয়ায় ‘ভাইরাল’ হবে না, তা কে বলতে পারে! সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।