লাইফস্টাইল ডেস্ক: গানের মধ্যে যাদু আছে। গান মনের নেতিবাচক অবস্থাকে কাটিয়ে দিতে পারে। আপনাকে শান্তি দিতে পারে। গান মনে সুখ আনে। দেশি-বিদেশি অনেক গবেষণাও এটাই বলে।
গান শুনতে শুনতে দ্রুত হাঁটা যায়, দৌড়ানো যায়, দ্রুত কাজ করা যায়। এমনকি অফিসে কাজের ফাঁকে গান শুনলে স্ট্রেস হুট করে নেমে যায়। পড়তে পড়তে মাথা জ্যাম হয়ে গেলে গান শুনে নিলে যথেষ্ট চাঙা লাগে।
গান আপনাকে ভালো ঘুম দিতে পারে। অনেকে বলেন, সঙ্গীত প্রতিদিন মনে জমা হওয়া ধুলোময়লা দূর করে। ঘুমাতে যাওয়ার ত্রিশ থেকে ৪৫ মিনিট আগে যারা সুন্দর গান শুনে ঘুমোতে যায় তাদের ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সঙ্গীত আর সুর আমাদের বিষণ্ণতা কমায়। পৃথিবীতে অসংখ্য লোক বিষণ্ণতায় ভুগছে, এর মধ্যে বেশিরভাগের রয়েছে ঘুমের সমস্যা। ধ্রুপদী সঙ্গীত মানুষের বিষণ্ণতা কাটিয়ে ঘুমাতে সহায়তা করে।
আপনার হার্ট কে সুস্থ রাখতে চাইলেও নিয়মিত গান শুনুন। কারণ ইউরোপের কিছু গবেষকের মতে গান শোনার মাধ্যমে আপনার মন ভালো থাকবে, যার ফলে আপনার দেহে এক ধরনের বায়োলজিক্যাল পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তের প্রবাহ সঠিক নিয়মে হবে আর আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।
সঙ্গীত-সুর মানুষকে অধিক খাওয়া হতে বিরত রাখে। মনীষীরা বলেন, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গীত ও সুরের সম্পর্ক রয়েছে। খাওয়ার সময় সুন্দর সুর চালিয়ে রাখলে খাওয়াটা আরও উপভোগ্য হয়, এবং মানুষ পরিমিত খায়।
গান যেকোনো কিছু শেখার ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। সুর মস্তিষ্কের মধ্যে শিখতে এবং মনে রাখতে সহায়তা করে। আপনার মাথায় যে চিন্তাগুলো জমে থাকে, সেগুলো গান শুনলে শিথিল হতে থাকে। তখন নতুন অন্য চিন্তাগুলো মাথায় নেওয়ার জায়গা পাওয়া যায়।
সঙ্গীত আর সুর শরীর এবং মনের ব্যথা কমায়।
আসলে গান শুনলে ডোপামিনের ক্ষরণ বাড়ে কিছু সময়ের জন্য। এই কারণে রিল্যাক্স লাগে। ভালো লাগে। অনেকসময় উচ্চ রক্তচাপ সামান্য কমাতেও সাহায্য করে। তবে কি ধরনের গান শুনছেন সেটার ওপরেও অনেককিছু নির্ভর করে। গান শোনার কোনো অপকারিতা এখনো অপ্রমাণিত। তবে উচ্চ শব্দে গান শোনা ক্ষতিকর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।