জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুর থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গ্রামের বাড়িতে যান চারজন পোশাককর্মী। সেখানে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৩ দিন পর জানা গেছে তারা করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে তারা আবার কর্মস্থল গাজীপুরে ফিরে গেছেন।
বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২০ এপ্রিল গাজীপুর থেকে দুই পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৬ জন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গ্রামের বাড়ি কাউকান্দি গ্রামে যান। ২২ এপ্রিল তাদেরসহ ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
বুধবার তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল বলেন, মঙ্গলবার রিপোর্ট আসে। এতে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা উপজেলার প্রথম করোনা রোগী। পরে তাদের অবস্থানের তথ্য নিশ্চিত করতে গিয়ে জানা যায়, আক্রান্ত ৪৫ বছর বয়সী এক পুরুষ, তার ২ মেয়ে ও অপর ৩০ বছর বয়সী নারী গাজীপুরে ফিরে গেছেন। তারা সেখানকার পোশাক কারখানায় কর্মরত আছেন।
আক্রান্ত অপর ২ জনকে নিজ বাড়িতে আপাতত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বুধবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিজেন ব্যানার্জী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত ২ জনের পৃথক দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে তাদের সঙ্গে ফোন করে জানা গেছে, তারা গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজারের শিরির চালা এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
ওই শ্রমিকরা বলেন, ২২ এপ্রিল নিজ জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন আমাদের দেহে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে যায়। দেহে করোনা সংক্রমণের কোনো লক্ষণ নেই, আমাদের কোনো সমস্যা মনে হয়নি। পরীক্ষার কোনো ফলাফলও আমরা কেউ পাইনি। তাই আমরা ৩ মে থেকে নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দেই।
তারা বলেন, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কারখানায় যেতে নিষেধ করে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেন। আমাদের জানানো হয়, আমরা করোনায় আক্রান্ত।
গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাহেরপুর থানার ওসি মোবাইল ফোনে তাদের আক্রান্তের খবর জানান। রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তারা যে দুই বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেই দুই বাড়ির তিনটি কক্ষ লকডাউন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।